উত্তপ্ত গয়া স্টেশন। নিজস্ব চিত্র।
রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরির গ্রুপ ডি কর্মচারী নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বিহারের গয়া স্টেশন। বুধবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল ট্রেনে। দাউদাউ করে জ্বলল ট্রেন। বিক্ষোভ প্রশমনে অকুস্থলে পুলিশ পৌঁছলে শুরু হয় ব্যাপক ইটবৃষ্টি। গুরুতর আহত হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন।
গত কয়েকদিন ধরে বিহারে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটাগরির গ্রুপ ডি কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসে তা পৌঁছল এক অন্যমাত্রায়। বুধবার দুপুর থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গয়া স্টেশন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও এ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নিয়ে কিচ্ছু জানানো হয়নি। প্রথম পরীক্ষার ফলাফলও কেউ হাতে পাননি।
বস্তুত এই চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে তুমুল বিক্ষোভ দেখান পাটনার রাজেন্দ্রনগরে। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিল্লি- কলকাতা রেলপথ। একের পর এক ট্রেন বিক্ষোভের জেরে থমকে যায়। আর এদিন ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান সেখানে। সকাল থেকে অবরোধ চলে পাটনা- গয়া রেলপথে।
ঘণ্টাখানেক ঝামেলার পর ক্রমশ থিতু হয় আন্দোলন। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে এই বিক্ষোভের কথা তুলে ধরে বিহার সরকার এবং কেন্দ্রকে একসঙ্গে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘প্রত্যেক যুবকের অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এটা যাঁরা ভুলে যান, তাঁদের মনে রাখা উচিত, দেশে এখনও লোকতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র ছিল, গণতন্ত্র থাকবে।’