Ashraf Ahmed Murder

‘আমাকে খুন করবে, বন্ধ খাম যাবে যোগীর কাছে!’ আগেই বলে দিয়েছিলেন আতিকের ভাই আশরফ

২০২২ সালের ২৮ মার্চ, বন্দি আশরফ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছিলেন, আর দু’সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে মেরে ফেলা হবে। কোনও এক পুলিশ অফিসার তাঁকে সেই হুমকি দিয়ে

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২৯
Share:

শনিবার রাতে আতিকের সঙ্গেই গুলি করে খুন করা হয়েছে তাঁর ভাই আশরফকে। ফাইল ছবি।

খুন যে হবেন, আগে থেকেই জানতেন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ভাই আশরফ। বন্দি অবস্থাতেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আশরফের সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ মেলেনি। তাঁকে খুন হতে হল আরও বছর খানেক পর।

Advertisement

২০২২ সালের ২৮ মার্চ, বন্দি আশরফ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে জানিয়েছিলেন, আর দু’সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে মেরে ফেলা হবে। কোনও এক পুলিশ অফিসার তাঁকে সেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন বলে জানান আশরফ। তিনি এ-ও দাবি করেন, তাঁর মৃত্যুর পর বন্ধ খামে চিঠি যাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যের প্রধান বিচারপতির কাছে।

আতিককে খুনের ঘটনা কি উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত?

ফলাফল দেখুন

বছর খানেক আগে আশরফের সেই দাবি নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর হত্যার পর। শনিবার রাতে তাঁকে এবং তাঁর ভাই আতিক আহমেদকে যখন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দু’জনকে খুন করা হয়। পুলিশের চোখের সামনেই চলে হত্যাকাণ্ড।

Advertisement

আশরফ বছর খানেক আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘আমি সেই পুলিশ অফিসারের নাম নিতে পারব না। তিনি আমাকে বলেছেন, কোনও না কোনও অছিলায় দু’সপ্তাহ পর আমাকে জেল থেকে বার করা হবে এবং মেরে ফেলা হবে। আমার পরিবারের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকে খুন করার পর একটি বন্ধ খাম পৌঁছে যাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যের প্রধান বিচারপতির কাছে।’’

আশরফ আরও বলেছিলেন, ‘‘আমাকে দেখে কি আপনাদের মাফিয়া বলে মনে হয়? আমি এক সময় বিধায়ক ছিলাম। তিন বছর ধরে জেল খাটছি। জেলের মধ্যে থেকে কী ভাবে আমি ষড়যন্ত্র করতে পারি?’’

দু’সপ্তাহ পর অবশ্য আশরফকে কেউ খুন করেননি। আতিক এবং তিনি একসঙ্গে খুন হয়েছেন শনিবার রাতে। পুলিশের চোখের সামনে স্লোগান দিতে দিতে তাঁদের গুলি করে খুন করা হয়। আততায়ীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের নিরাপত্তাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement