অশোক তানোয়ার।
কংগ্রেসের উপর ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ করতে ময়দানে রাহুল গাঁধীরই ‘লোক’। তিনি অশোক তানোয়ার।
হরিয়ানার এই যুব নেতা রাহুলের ‘খাস লোক’ বলেই পরিচিত ছিলেন। রাহুল তাঁকে হরিয়ানায় কংগ্রেসের সভাপতিও করেন। কিন্তু সনিয়া গাঁধীর আগমনের পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার চাপে সভাপতি পদ থেকে অশোককে সরাতে বাধ্য হন সনিয়া। দল ছাড়েন অশোক। আজ তিনিই দিল্লিতে ঘোষণা করলেন, আর এক যুবনেতা দুষ্মন্ত চৌটালার ‘জননায়ক জনতা পার্টি’কে সমর্থন করবেন। লক্ষ্য, কংগ্রেসকে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে নামিয়ে আনা।
প্রচারের জন্য হাতে মাত্র চার দিন। কিন্তু দিল্লিতে বিজেপি নেতারাও বলছেন, হরিয়ানার ছবিটি একটু বদলাতে শুরু করেছে। আগে লড়াইটা প্রায় বিরোধীশূন্য মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ কাজে লাগাতে শুরু করেন বিরোধীরা। ফলে রাজ্যে ৯০টির মধ্যে ৭৫টির বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে বিজেপির আত্মবিশ্বাসে সামান্য চিড় ধরেছে। বাড়ানো হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সভা। প্রচারের শেষ দু’দিনেও তাঁর সময় চেয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
এই আবহে আজ দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অশোক ও দুষ্মন্ত বলেন, ‘‘লোক না হওয়ায় অমিত শাহের সভা বাতিল করতে হয়েছে। ছবি বদলাচ্ছে।’’ দুষ্মন্ত আইএনএলডি-র ওমপ্রকাশ চৌটালার নাতি, অজয় চৌটালার ছেলে। পরিবারে কোন্দলের জেরে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী চৌধুরী দেবীলালের ‘আদর্শে’ দল গড়েছেন ৩১ বছরের দুষ্মন্ত। প্রাথমিক সমীক্ষা বলছে, আইএনএলডি-র থেকেও এগিয়ে তাঁর দল।
তানোয়ার অবশ্য দুষ্মন্তের দলে যোগ দেননি। সূত্রের মতে, তিনি আশায় আছেন, রাহুল ফিরলে তিনিও ফিরবেন। সে কারণে আজ সনিয়া কিংবা রাহুলের সম্পর্কে একটি শব্দও বললেন না। শুধু শুনিয়ে রাখলেন, ‘‘কংগ্রেসের পাপীদের উপর সুদর্শন চক্র ঘুরিয়েছি। দুই ছোকরার জোট খেল দেখাবে। সার্জিকাল স্ট্রাইক হবে কংগ্রেসে।’’