রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।
রাহুল গাঁধী যদি একান্তই রাজি না হন, তবে কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, রাহুল দলের সভাপতিত্ব করতে নারাজ। এমনকি সনিয়া বা প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মধ্যে কেউ সভাপতি হন, তা-ও চাইছেন না রাহুল। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে দেখা যেতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌতকে। বুধবার অবশ্য এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিলেন গহলৌত।
কংগ্রেসের তরফে ২০২১ সালের জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের ২১ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এখনও অবশ্য কংগ্রেসের তরফে সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সনিয়া গাঁধী গহলৌতের সঙ্গে বৈঠক করেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সনিয়া সেই বৈঠকে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে গহলৌতকে দলের দায়িত্বভার নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এই প্রসঙ্গে বুধবার গহলৌতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এটা সংবাদমাধ্যমের সূত্রেই জেনেছি। আমি নিজে এই বিষয়ে কিছুই জানি না। দলের তরফে আমায় যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি তা পালন করার চেষ্টা করছি মাত্র।” এর আগে অবশ্য গহলৌত, দলের সভাপতি হিসাবে রাহুলের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, রাহুল সভাপতি না হলে দলের নেতা-কর্মীরা হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। অনেক কর্মী-সমর্থক ঘরে বসে যাবেন। কর্মী-সমর্থকদের আবেগের কথা মাথায় রেখেই রাহুলের দলীয় সভাপতি পদ গ্রহণ করা উচিত বলেছিলেন গহলৌত। এ-ও জানিয়েছিলেন, রাহুলকে এই বিষয়ে তাঁরা বোঝাবেন এবং চেষ্টা করবেন, যাতে তিনি সভাপতি হতে রাজি হন।
দলের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, তা নিয়ে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও নানা প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি আছে। এই বিষয়ে কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেসি বেণুগোপাল ট্যুইট করে জানান, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে ২৮ অগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসবে। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন সনিয়া গাঁধী।