অশোক চহ্বাণ। —ফাইল ছবি।
মুম্বইয়ে ভারত জোড়়ো ন্যায় যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নাম না করেই প্রাক্তন কংগ্রেস, অধুনা বিজেপি নেতা অশোক চহ্বাণকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার রাহুলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চহ্বাণ।
রবিবার রাহুল জানান, সনিয়া গান্ধীকে ফোন করে কেঁদে ফেলেছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মহারাষ্ট্রের এক প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, “আমি কারও নাম নিতে চাই না। কিন্তু এক জন প্রবীণ নেতা কংগ্রেস ছাড়েন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে আমার মাকে বলেন, সনিয়াজি! আমি লজ্জিত। আমি এদের সঙ্গে লড়তে পারব না। আমি জেলে যেতে চাই না।” রাহুল ইঙ্গিত দেন যে, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে নিস্তার পেতেই চহ্বাণের দলবদলের সিদ্ধান্ত।
সোমবার চহ্বাণ রাহুলের দাবি খারিজ করে দিয়ে বলেন, “যদি তিনি আমার সম্পর্কে এ কথা বলে থাকেন, তবে বলল এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। সত্যি হল এটাই যে, আমি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছি এবং বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। তত ক্ষণ অবধি কেউ জানতেও পারেনি যে আমি ইস্তফা দিতে চলেছি।” সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তিনি দেখা করেননি, এমনটা দাবি করে চহ্বাণ বলেন, “এটা একেবারেই ভিত্তিহীন কথা যে, আমি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমার মনোভাবের কথা জানিয়েছি। আসলে নির্বাচনের সময় এ সব বলে রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন চহ্বাণ। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা শঙ্কররাও চহ্বাণও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দলীয় সংগঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অশোক। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। কংগ্রেসের অন্দর থেকে জানা যায়, লোকসভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই মতান্তর চলছিল অশোকের। সেই কারণেই তাঁর দলত্যাগ বলে মনে করে কংগ্রেসের একাংশ। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় অঞ্চলে প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিতি রয়েছে অশোকের।