—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতের সরাসরি প্রভাব কি এ বার পড়েতে চলেছে ভারতেও? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানী নয়াদিল্লির একাধিক জায়গায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে নয়াদিল্লির ইজ়রায়েলি দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা এবং রাজধানীর ইহুদি ধর্মস্থানগুলিতে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ওই সব জায়গার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো দেশগুলি সম্প্রতি ‘ইহুদি ধর্মস্থান এবং স্থাপত্যের উপর প্যালেস্তাইনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সম্ভাব্য হামলা’র আশঙ্কায় বিশেষ পদক্ষেপ করেছে। ফ্রান্স যেমন বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছে যে, জনস্বার্থে দেশের মধ্যে কোনও প্যালেস্তাইনপন্থী বিক্ষোভকে অনুমোদন দেওয়া হবে না। অবশ্য একাংশ ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানিয়েছে যে, মতপ্রকাশ এবং সমবেত হওয়ার মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছে ফরাসি প্রশাসন। এই আবহে দিল্লিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে গাজ়ার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে দিতে বলেছে ইজ়রায়েল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শুধু আকাশপথে নয়, এ বার স্থলপথেও গা়জ়ার উপরে হামলা চালাতে চলেছে ইজ়রায়েল বাহিনী। ভূমধ্যসাগর লাগোয়া এই ছোট জনপদে নতুন করে হামলা চালানো হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইজ়রায়েলকে সেই আশঙ্কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বলা হয়েছে, এর পরিণতি ‘বিধ্বংসী’ হতে পারে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাতেই ইজ়রায়েলের সেনা রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানায় যে, তারা গাজ়ার অন্তত দশ লক্ষ মানুষকে দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন। যদিও ইজ়রায়েলের তরফে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে গা়জ়া সীমান্তের কাছে বহু সাঁজোয়া গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েল। নতুন হামলার আশঙ্কায় রাষ্ট্রপুঞ্জ ইহুদি-প্রধান দেশটিকে ‘বিধ্বংসী পরিণতি’র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।