sameer wankhede

Aryan Khan Case: আরিয়ান-মামলার তদন্ত থেকে সরানো হচ্ছে না ওয়াংখেড়েকে, জানাল এনসিবি

এনসিবি আধিকারিক জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন ওয়াংখেড়ে স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সব নথি জমা করেছেন। প্রয়োজনে তাঁকে পরে জেরা করা হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ০৯:১৬
Share:

ঘুষের অভিযোগে বিদ্ধ ওয়াংখেড়ে নিজেকে বাঁচাতে আইনের শরণাপন্ন হন। ফাইল চিত্র।

তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষের তদন্ত শুরু হলেও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে যে আরিয়ান-মামলা থেকে সরানো হচ্ছে না সে কথা জানিয়ে দিল মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সঙ্গে এনসিবি আধিকারিক জ্ঞানেশ্বর সিংহ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, যদি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কোনও রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পাওয়া যায়, তা হলে তাঁকেই মাদক কাণ্ডের তদন্তে বহাল রাখা হবে। বুধবার সকালেই মুম্বইয়ে জ্ঞানেশ্বরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল এসে পৌঁছয়।

Advertisement

আরিয়ান-মামলাকে কেন্দ্র করে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ উঠতেই তোলপাড় শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে জোর জল্পনা চলতে থাকে তা হলে কি এ বার এই হাই প্রোফাইল মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে ওয়াংখেড়েকে। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে এনসিবি ওয়াংখেড়েকেই তদন্তে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও চলবে।

এক দিকে ঘুষের অভিযোগে যখন জর্জরিত হচ্ছেন ওয়াংখেড়ে, অন্য দিকে তখন তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তির ছুড়ে চলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। প্রথমে ওয়াংখেড়ে জন্ম শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তার পর জাতি শংসাপত্র, বিয়ে— একের পর তথ্য তুলে ধরে ওয়াংখেড়েকে বিদ্ধ করেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন এনসিবি কর্তাও।

Advertisement

এনসিবি আধিকারিক জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সব নথি জমা করেছেন ওয়াংখেড়ে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাঁকে পরবর্তীকালে জেরা করা হতে পারে।

মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সইল। তিনি নিজেকে কিরণ গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। হলফনামায় তিনি দাবি করেছেন, আরিয়ান মামলায় শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার দাবি জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন গোসাভি। সইলের আরও দাবি, ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তা ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়। সেই ১৮ কোটির মধ্যে ৮ কোটি টাকা ওয়াংখেড়ের জন্য রাখা হয়েছিল।

ঘুষের অভিযোগে বিদ্ধ ওয়াংখেড়ে নিজেকে বাঁচাতে আইনের শরণাপন্ন হন। তার আগে মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, তাঁকো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আদালতেও যান তিনি। যদিও এনসিবি ওয়াংখেড়ের পাশে দাঁড়িয়েই পাল্টা দাবি করেছে, তাদের এই আধিকারিকের চাকরিজীবনে কোনও খারাপ রেকর্ড নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement