বৈভব কুমার। —ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টি (আপ)-র রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে নিগ্রহের মামলায় জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বৈভব কুমার। সোমবার বৈভবকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জামিন চেয়ে এবং গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বৈভব। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চে। দিল্লি পুলিশের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয় যে, মূল মামলাটির চার্জশিট পেশ করা হয়েছে এবং বৈভব ১০০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত হয়ে গিয়েছে।
বিচারপতি ভুয়ান দিল্লি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “(স্বাতীর) আঘাত গুরুতর নয়। এটা জামিনযোগ্য মামলা। আপনারা বিরোধিতা করবেন না। এই মামলায় আপনারা এক জন ব্যক্তিকে জেলে রেখে দিতে পারেন না।” সোমবার আদালতে দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি বলেন, “(এই মামলায়) অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বৈভবের দ্বারা প্রভাবিত। তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হোক। আমি বিরোধিতা করব না।” সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মামলার সমস্ত সাক্ষীকে সাক্ষ্যপ্রমাণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ না করে বৈভবকে তাঁর পুরনো সরকারি পদে ফেরানো হবে না। প্রসঙ্গত, নিগ্রহকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের আপ্তসহায়ক ছিলেন বৈভব।
অভিযোগ, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের বাসভবনে স্বাতীকে নিগ্রহ করেছিলেন বৈভব। ১৬ মে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ১৮ মে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বাতী দাবি করেছিলেন, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে নিগ্রহ করেন কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব। আপ সাংসদের দাবি, বৈভব তাঁকে ৭-৮টি চড় এবং পেটে লাথি মারেন। ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে বৈভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। ঘটনার অব্যবহিত পরে আপ নেতারা বৈভবের আচরণের নিন্দা করে স্বাতীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই অবস্থান পরিবর্তন করে আপ শীর্ষ নেতৃত্ব স্বাতীর যাবতীয় অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। স্বাতীয় অভিযোগের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
গত অগস্ট মাসে স্বাতীকে নিগ্রহের মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। সেই চার্জশিটে বৈভবের পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরীওয়াল, আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের নামও ছিল।