Arvind Kejriwal

অষ্টম বারের সমন এড়ালেও শীঘ্রই ইডির ডাকে সাড়া দেবেন কেজরীওয়াল, জানিয়ে দিলেন তারিখও

আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে অষ্টম বারের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোমবার ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব এড়ালেন আপ প্রধান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ১০:২১
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে অষ্টম বারের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোমবার ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব এড়ালেন আপ প্রধান। তবে বিশেষত্ব এই যে, এই প্রথম বার ইডির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা জানালেন তিনি। সোমবার কেজরীওয়াল জানান, আগামী ১২ মার্চের পর তিনি ইডির প্রশ্নের উত্তর দিতে চান। প্রসঙ্গত, এর আগে কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে ইডির তলব এড়িয়েছেন কেজরীওয়াল।

Advertisement

কেজরীওয়ালের দল আপের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ মার্চের পর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে চান কেজরীওয়াল। যদিও ইডির বক্তব্য, ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না। তাই কেজরীওয়ালকে সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে। তলবে সাড়়া দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানালেও ইডির সমনকে সোমবারও ‘বেআইনি’ বলে কটাক্ষ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কেজরীওয়ালকে অষ্টম বারের জন্য সমন পাঠায় ইডি। তাঁকে ৪ মার্চ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চম বার ইডির সমন এড়ানোর পর তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয়েছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানিতে বিচারক দিব্যা মলহোত্র নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে আপের প্রধানকে। ঘটনাচক্রে, এই সময়ের মধ্যেই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তরফে ষষ্ঠ সমন পাঠানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজিরা দিয়ে কেজরী জানান, দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোট থাকার কারণে তিনি সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারছেন না। আদালত তাঁকে আগামী ১৬ মার্চ সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেয়।

Advertisement

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement