দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
একই চিত্রনাট্য, একই চরিত্র।
পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগে লুধিয়ানায় অটোচালকদের সঙ্গে কথাবার্তায় আম আদমি পার্টি(আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আচমকাই এক অটোচালক বলেছিলেন, ‘আমার মতো গরিবের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলে খেতে যাবেন?’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন, ‘আজকেই চলে যাই? সঙ্গে ভগবন্ত মান ও হরপাল সিংহ চিমাকেও নিয়ে যাই?’ কেজরীওয়াল ভোজন সেরে আসার পরে জানা যায়, দিলীপ তিওয়ারি নামে ওই অটোচালক আগেভাগেই আপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ আমদাবাদেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কেজরীওয়ালের সভা চলাকালীন অটোচালক বিক্রম দন্তাণী তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আমার মতো গরিবের বাড়িতে খেতে যাবেন?’ আপ প্রধানের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আজকেই চলে যাই?’ পাশে বসা তাঁর দলের দুই নেতাকে দেখিয়ে বলেছেন, সঙ্গে ওঁদেরও নিয়ে যাই! তার পরে কেজরীওয়াল বিক্রমের অটো চড়েই তাঁর বাড়িতে খেতে পৌঁছেছেন।
পর পর দুই রাজ্যে হুবহু একই ঘটনা ঘটায় আজ কংগ্রেস কেজরীওয়ালকে ‘ভারতীয় রাজনীতির সব চেয়ে বড় প্রতারক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এক সময় আপের সঙ্গে যুক্ত কংগ্রেস নেতা অজয় কুমারের অভিযোগ, ২০২১-২২-এ আম আদমি পার্টি বিজ্ঞাপনে ৪৯০ কোটি টাকা খরচ করেছে। গুজরাত ভোটের জন্য দু’মাসে বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে ৩৬ কোটি টাকা। উল্টো দিকে, বিজেপির হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেজরীকে তোপ দেগে বলেছেন, ‘‘যাঁরা স্বপ্নের ব্যবসা করছেন, তাঁরা গুজরাতে সফল হবেন না।’’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গুজরাতের বিধানসভা ভোটে নেমে পড়ায় কংগ্রেস প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলছিল, আপ আসলে কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে। কেজরীওয়াল এ বার আমদাবাদে গিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি পিছনের দরজা দিয়ে সনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইছে। শাহের আক্রমণের জবাবে তাঁর উত্তর, ‘‘যাঁরা কালো টাকা ফেরত এনে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। যে আম আদমি পার্টি দিল্লি, পঞ্জাবে নিখরচায় বিদ্যুৎ দিয়ে গুজরাতেও নিখরচায় বিদ্যুৎ দেবে বলছে, তাঁদেরই বিশ্বাস করা উচিত।’’