হোম ডেলিভারি পরিষেবার উদ্বোধন হচ্ছে। ছবি: আম আদমি পার্টির টুইটার পেজের সৌজন্যে।
পিৎজা থেকে পোশাক শুধু নয়, এ বার এক ফোনেই বাড়ি বসে পেয়ে যান ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, ইনকাম সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র-সহ মোট ৪০টি পরিষেবা। এগুলোর জন্য আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্টের প্রয়োজন নেই। যে ভাবে ফোন করে পিৎজা অর্ডার দেন, অনেকটা সে ভাবেই একটা নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে আপনি কী পরিষেবা চান, তার ‘অর্ডার’ দিতে হবে। আজ সোমবার থেকেই দিল্লিবাসীর জন্য চালু হয়ে গেল এই হোম ডেলিভারি সার্ভিস।
এ দিন দিল্লির আম আদমি পার্টির তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা দিল্লিবাসীকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল টুইট করেন, ‘দোরগোড়ায় পরিষেবা। একটা বৈপ্লবিক এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এটা দুর্নীতিতে খুব বড় আঘাত আর সাধারণ মানুষের জন্য খুব বড় সুবিধার খবর। বিশ্বে প্রথম এমন কোনও পরিষেবা আনতে চলেছে কোনও সরকার। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হল।’
ঠিক কী রকম এই হোম ডেলিভারি?
এই পুরো পরিষেবার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। দিল্লির ১১টি অঞ্চলে ৫ জন করে মোবাইল সহায়ক নিযুক্ত করা হবে যাঁরা আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। ১০৭৬ নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে কী পরিষেবা চান তার বিস্তারিত বিবরণ। বাড়ি গিয়ে মোবাইল সহায়করাই পরিষেবা দেবেন। এর জন্য আবেদনকারীদের থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বীরভূমে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ, অনুব্রত বললেন, বিজেপি লোক ঢুকিয়ে করিয়েছে
কী রকম?
যেমন ধরুন আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে দিল্লি সরকারের দেওয়া ওই নির্দিষ্ট ১০৭৬ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত জানাবেন। আপনি কী পরিষেবা চান এবং তার জন্য কী কী নথির প্রয়োজন সবটা আপনাকে মোবাইল সহায়ক প্রতিনিধি ফোনেই জানিয়ে দেবেন। এবং একটা নির্দিষ্ট দিনে মোবাইল সহায়ক আপনার বাড়িতে আসবেন। সমস্ত নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। আপনাকে শুধু মোটর লাইসেন্সিং অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে। একই ভাবে পাসপোর্ট, রেশন কার্ড, ডুপ্লিকেট রেজিস্ট্রেশন পেপার, ইনকাম সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র সহ এমন ৪০ রকমের পরিষেবা বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন দিল্লিবাসী।
তবে এই পরিষেবা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এখন যখন সব কিছু বাড়িতে বসে অনলাইনে করা সম্ভব, সেখানে এই পরিষেবার কি খুব দরকার ছিল? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দিল্লি কংগ্রেসের মুখপাত্র পূজা বাহরি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যে ৪০টি পরিষেবার কথা বলা হচ্ছে, তার ৩৫টি ইতিমধ্যে অনলাইনেই সম্ভব। এই বাড়তি পরিষেবা চালুর বদলে অনলাইন পরিষেবাগুলো কেন আরও উন্নত করা হচ্ছে না?’’