দীর্ঘ অপেক্ষার পর মনোনয়ন জমা দিলেন কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।
টানা ছ’ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। নির্বাচন কমিশনের দফতরে নির্দল প্রার্থীরা ভিড় জমানোতেই তাঁর মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হয়েছে বলে খবর। যদিও আপ-এর দাবি, কেজরীবাল যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, সে জন্য বিজেপিই ৪০-৫০ জনকে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
এর আগে, সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল কেজরীবালের। কিন্তু পথসভা করতে গিয়ে সময় মতো নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছতে পারেননি তিনি। তাই মঙ্গলবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনই কমিশনের দফতরে যাবেন বলে ঠিক করেন কেজরীবাল। সেই মতো এ দিন পৌঁছেও যান তিনি।
কিন্তু গিয়ে দেখেন, আগে থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। কোনওরকমে ৪৫ নম্বর টোকেন জোগাড় করে ফেলেন তিনি। তার পরেই শুরু হয় অপেক্ষার পালা। একে একে ৪৪ জন নির্দল প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন দাখিল করার পর পালা আসে কেজরীবালের। তবে তত ক্ষণে ঘণ্টা ছয়েক পার হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল নিয়ে অশান্তি, অভিমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী
কেজরীবালের টুইট।
এ নিয়ে দুপুর আড়াইটে নাগাদ টুইটারে কেজরীবাল লেখেন, ‘‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। ৪৫ নম্বর টোকেন পেয়েছি আমি। বহু মানুষ মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন। আমি খুশি যে এত মানুষ গণতন্ত্রে অংশ নিচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জের! ছেলে তৈমুরকে জড়িয়ে সইফকে কটাক্ষ বিজেপির
সিসৌদিয়ার টুইট।
যদিও এই দেরির জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আপ নেতারা। কেজরীবালকে বাধা দিতে বিজেপি-ই ৪০-৪৫ জনকে প্রার্থী সাজিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিসে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি করছেন তাঁরা। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া টুইটারে লেখেন, ‘‘কেজরীবালের আগে লাইনে ৪৫ জনকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের সকলের উপর আধ ঘণ্টা করে খরচ করছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি যাদের নথিপত্র অসম্পূর্ণ, তাঁদের উপরও সময় ব্যয় করা হচ্ছে।’’ এ সব করেও কেজরীবালকে দমানো যাবে না বলে জানিয়ে দেন সিসৌদিয়া। তবে এ নিয়ে বিজেপির তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।