মণীশ সিসৌদিয়া এবং অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল ছবি।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে কি গ্রেফতার করা হতে পারে? এই জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। মঙ্গলবার গুজরাতে কেজরীবাল আশঙ্কাপ্রকাশ করেন, দু’তিন দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হতে পারে সিসৌদিয়াকে।
গুজরাতের ভাবনগরে একটি জনসভায় একসঙ্গে হাজির ছিলেন কেজরীবাল ও সিসৌদিয়া। সেই সভায় জনসমাগম হয়েছিল যথেষ্ঠ। সেখানেই কেজরীবাল জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর আছে ১০ দিনের মধ্যে সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করবে সিবিআই। কিন্তু আপনাদের সমর্থনের যা বহর দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে দু’তিন দিনের মধ্যেই ও গ্রেফতার হয়ে যাবে।’’
আর সিসৌদিয়া দাবি করেন, আপের প্রতি ক্রমাগত বেড়ে চলা জনসমর্থনের কারণেই তিনি বিজেপির নিশানায় চলে এসেছেন। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের রাগ ও উৎসাহের কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার আমার ঘাড় চেপে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনারা আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমার ঘাড় সততা দিয়ে তৈরি।’’
দিল্লির আপ সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের দায়ের করা একটি মামলায় সিসৌদিয়ার নাম রয়েছে সবচেয়ে উপরে। গত ১৯ অগস্ট সাত রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই তালিকায় ছিল দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনও। টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় সিসৌদিয়ার বাড়িতে। আপের দাবি, দিল্লি ও পঞ্জাবে বিরাট জয় এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আপ সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সহ্য করতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদী। তাই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আপের নেতাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে ‘সবক’ শেখানোর চেষ্টা চলছে। সিসৌদিয়া এমনও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কাছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। সোমবার তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আমার কাছে বিজেপির বার্তা এসেছে— আপ ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিন, সিবিআই-ইডির সব মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এরই মধ্যে সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে আবগারি নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলা শুরু করার খবর জানায় সংবাদ সংস্থা এএনআই। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সংস্থা জানায়, ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা এখন সিসৌদিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কথা অস্বীকার করছেন। স্বভাবতই এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।