প্রতীকী ছবি।
সব দেশই নিজেদের সুবিধার কথা ভাবে। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার চাপের মুখেও ভারতের অনড় অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে সম্প্রতি এই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ বার সেই একই যুক্তি শোনা গেল কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের সচিব অরুণ সিঙ্ঘলের মুখে। রাশিয়া থেকে ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার আমদানি ভারত জারি রাখতে পারে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
অরুণ জানান, উত্তরপ্রদেশ-সহ অনেকগুলি রাজ্যে ফসফেট সারের ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্যে ঘাটতি রয়েছে ইউরিয়া সারের। তবে মোটের উপর দেশের পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া এবং মিউরিয়াট অফ পটাশ (এমওপি) সারের মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে অরুণ বলেন, ‘‘প্রতি বছর ৬৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ফসফেট সারের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ গড়ে দৈনিক ২ লক্ষ টন। রবি ও খরিফ চাষের মরসুমে দৈনিক ৩-৪ লক্ষ টন ফসফেট সারের প্রয়োজন হয়।’’ অন্যদিকে, এ বছর অক্টোবর-নভেম্বরের মরসুমে প্রায় সাড়ে ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ফসফেট সারের চাহিদা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মোটামুটি ভাবে আমরা চাহিদা মেটাতে পেরেছি।’’ তবে ডিসেম্বরের গোড়া থেকে বিহার-উত্তরপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যে আবার ফসফেটের চাহিদা বাড়বে। সেই ঘাটতি মেটাতে রুশ সরবরাহের প্রয়োজন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।