—ফাইল চিত্র।
শরীরের কারণে সরকার থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। খালি করে দিয়েছেন সরকারি বাংলোও। কিন্তু সব কিছুর পরেও নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান যে রয়েই গিয়েছে, তা স্পষ্ট অরুণ জেটলির ব্লগে।
বাজেটের ব্রিফকেস হাতে চার-চার বার সংসদে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জেটলির। ব্রিটিশ ঐতিহ্যের সেই বাক্স ছেড়ে এ বার লাল দড়ি বাঁধা ব্যাগে অর্থমন্ত্রীর বাজেট-বক্তৃতার কপি নিয়ে আসা সম্পর্কে কিছু লেখেননি তিনি। তবে প্রত্যাশিত ভাবেই প্রশংসা করেছেন উত্তরসূরির।
তাঁর দাবি, এই বাজেট আক্ষরিক অর্থেই গ্রাম এবং গরিবের। করের সুবিধা দেওয়া হয়েছে তুলনায় কম দামের বাড়ির ক্রেতাদেরও। দেশকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি করার স্বপ্ন ধাওয়া করতে যে ভাবে লগ্নি আসার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা হয়েছে, তারও প্রশংসা করেছেন তিনি। যদিও একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ‘বিরাট লক্ষ্য’কে এখন পাখির চোখ করা সম্ভব হচ্ছে গত পাঁচ বছরে গড় বৃদ্ধি ৭.৩% হওয়ায়। তাঁর দাবি, রাজকোষ ঘাটতি, চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে ঘাটতি কমার পাশাপাশি কর আদায়ের অঙ্ক পাঁচ বছরে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে বলেই সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম আর্থিক শক্তি হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে পারছে ভারত। সম্ভব হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ও পরিকাঠামোয় বিপুল লগ্নির কথা বলা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই পাঁচ বছরের বেশির ভাগ সময়েই দেশের অর্থনীতির স্টিয়ারিং ছিল তাঁর হাতে।
শুক্রবার নির্মলা সীতারামনের বাজেটকে তুলোধনা করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। প্রশ্ন তুলেছিলেন, বাজেট যেখানে মূলত আয়-ব্যয়ের খতিয়ান, সেখানে কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ, তার উল্লেখ নামমাত্র ক্ষেত্রে করে কী ভাবে বাজেট পড়লেন সীতারামন?
আর ঠিক সেই জায়গাতেই নির্মলার পাশে দাঁড়িয়ে ব্লগ শুরু করেছেন জেটলি। দাবি করেছেন, অর্থনীতি আড়েবহরে আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়ে যাওয়ার পরে বাজেট এখন আর শুধু আয়-ব্যয়ের খতিয়ান নয়। একই সঙ্গে নীতির রূপরেখাও। জন-ধন প্রকল্প, জিএসটি ইত্যাদির সাফল্যের উপরে দাঁড়িয়ে নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট যে ভাবে পরিকাঠামো গড়া, বিনিয়োগ টানার পাশাপাশি সকলের জন্য বাড়ি, গ্যাস ও জলের সংযোগের উপরে জোর দিয়েছে, তারও প্রশংসা করেছেন তিনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।