পাকিস্তান থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেসে ফেরা। ছবি: এএফপি।
সমঝোতা এক্সপ্রেসের পরে থর এক্সপ্রেস ও দোস্তি বাস পরিষেবা বন্ধ করল পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে ঘিরে ভারত-পাক সম্পর্কের পারদ চড়ছে। যাবতীয় সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ আজ থর এক্সপ্রেসের যাতায়াত স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি যত দিন মন্ত্রী আছি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ট্রেন চলবে না।’’ প্রতি শুক্রবার রাজস্থানের জোধপুরের ভগত কি কোঠি থেকে করাচি পর্যন্ত যাতায়াত করে থর এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিই ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে রেলপথে সংযোগ রক্ষার শেষ মাধ্যম। পাক রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, থর এক্সপ্রেসের যাতায়াতের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করে ১৩৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। ওই পথটি এখন থর কয়লা প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হবে। ৪১ বছর বন্ধ থাকার পর ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে থর এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, জোধপুর থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪২ জন পাক নাগরিক টিকিট কেটেছিলেন।
গত কাল সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে পাক চালক এবং গার্ডেরা ভারতে ঢুকতে চাননি। সাড়ে চার ঘণ্টা দেরিতে আজ সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ পুরনো দিল্লি স্টেশনে পৌঁছয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। এক পাক দৈনিক জানিয়েছে, সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক স্লোগান চালু করেছে ‘সে নো টু ইন্ডিয়া’। ভারতের থিয়েটার ও সিনেমা পাকিস্তানে দেখানো হবে না। ভারতের সিনে কর্মীদের সংগঠনও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পাকিস্তানের শিল্পী এবং বািণজ্য সহযোগীদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের বক্তব্য, ওই নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে বলিউডে ধর্মঘট হবে।