গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের গোড়া থেকেই ঘাঁটি গেড়েছিলেন কাশ্মীরে। কখনও শ্রীনগরে সিআরপি জওয়ানদের ‘ভোকাল টনিক’ দিয়েছেন। কখনও আবার শোপিয়ানে আম কাশ্মীরিদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে দেখা গিয়েছে। উপত্যকার নানা তথ্য নিয়ে সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল ফিরেছেন দিল্লিতে। এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জম্মু-কাশ্মীরের ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ দিলেন তিনি।সোমবার দিল্লিতে একটি বৈঠকে পর্যালোচনা হয়েছে উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।
৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর কাশ্মীরে ১০ দিনেরও বেশি সময় কাটিয়ে দিল্লিতে ফিরেছেন ডোভাল। দিল্লি ফেরার প্রথম এই প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তিনি। সোমবারের এই বৈঠকে ছিলেন এনএসএ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পদস্থ কর্তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি শীর্ষ সূত্রে খবর, যে ভাবে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তার জন্য অমিত শাহের প্রশংসা করেন ডোভাল।
গত ১০ দিনে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন এনএসএ ডোভাল। ৫ অগস্ট থেকে গোটা কাশ্মীরে কার্ফু জারি ছিল। ইন্টারনেট, মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, কেবল বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। সংবাদ সংগ্রহও ছিল কার্যত অসম্ভব। তার মধ্যেও একাধিক বার ডোভালের ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। সিআরপি জওয়ানরা ভাল কাজ করেছেন এবং করছেন বলে তাঁদের বাহবা ও উৎসাহ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আবার কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন এবং কথোপকথনের ভিডিয়োও মিলেছে। অর্থাৎ গোটা উপত্যকা থেকে সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করেছেন ডোভাল। সেই সমস্ত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ডোভাল।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক কূটনৈতিক উত্তেজনা, ইসলামাবাদ সফর বাতিল হতে পারে যুবরাজ উইলিয়মের
আরও পড়ুন: ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা, উপত্যকায় খুলল সরকারি অফিস, স্কুল খুললেও হাজিরা নগণ্য
প্রায় দু’সপ্তাহ পর থেকে ধীরে ধীরে জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ধাপে ধাপে তোলা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। মোবাইল, ইন্টারনেট, ল্যান্ডলাইন, কেবল পরিষেবাও চালু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক। তার মধ্যেই সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত সরকারি অফিস খুলেছে। শ্রীনগরের প্রায় দুই শতাধিক স্কুলও খুলেছে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নিয়ে কবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব হবে, সেটাই এখন কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, এ দিন এই বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।