অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরকে সামনে রেখে দেশে ভোটের প্রচার শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ভোটমুখী চার রাজ্যে (দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড) নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথাক্রমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, ভূপেন্দ্র যাদব এবং ওম মাথুরকে আজই দায়িত্ব দিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মেয়াদও আরও বাড়ানো হয়েছে। ‘অখণ্ড’ ভারতের স্লোগান তুলে বিজেপির সদস্য হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে দিল্লি থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে তা প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বিজেপির সদর দফতরে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে সব রাজ্যে মণ্ডল স্তর পর্যন্তও একই প্রস্তাব পাশ করে পাঠাতে বলা হয়েছে। সব জেলায় করতে হবে সাংবাদিক বৈঠক। উৎসবে শামিল করতে হবে সাধারণ মানুষকে।
সংসদে যে দিন অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের প্রস্তাব নিয়ে আসেন, সে দিনই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছিলেন, ‘‘সরকারের এই পদক্ষেপের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের যতটা না সম্পর্ক, তার থেকেও বেশি নজর বাকি রাজ্যের ভোটের দিকে।’’ কংগ্রেস নেতাদের মতে, কাশ্মীর নিয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদের তাস খেলে যেমন বেহাল অর্থনীতি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে সরকার, তেমনই বাকি রাজ্যে, বিশেষ করে গোবলয়ে ভোট পাওয়া তাদের লক্ষ্য। তবে বিজেপি নেতাদের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস আগে তো ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে নিজেদের সামলাক, নিজেদের সভাপতি নিয়োগ করুক। একদল ৩৭০ অনুচ্ছেদের পক্ষে বলছেন, আর ওয়ার্কিং কমিটি উল্টো পথে হাঁটছে।’’ তাঁদের মতে, কংগ্রেস নিজেদের ঘর সামলে ওঠার আগে মোদীর দল শক্তি আরও বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী কালই বক্তৃতায় স্পষ্ট করেছেন, মেহবুবা মুফতি-ওমর আবদুল্লাদের অপ্রাসঙ্গিক করে, নতুন যুব বাহিনী তৈরি করে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তবে তার আগেই অন্য রাজ্যে ভোটপ্রচারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু হয়ে গেল।