Kashmir

৩৭০ বাতিলের ছ’মাস, সাজ্জাদ-পারা মুক্ত, কী হবে বাকি বন্দিদের 

কবে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে তার পুরো দায় স্থানীয় প্রশাসনের ঘাড়ে চাপিয়ে রেখেছে মোদী সরকার। আর স্থানীয় প্রশাসনের মুখে কুলুপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ছ’মাস পূর্ণ হল আজ। এই ১৮০ দিন বন্দি রাখার পরে পিপলস কনফারেন্সের প্রবীণ নেতা সাজ্জাদ লোন এবং পিডিপির মেহবুবা ফুফতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ওয়াহিদ রহমান পারাকে আজ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমএলএ হোস্টেলে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা এখন ১৩। এখনও বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন তিন জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা, ওমর আবদুল্লা ও তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লা। তৃতীয় জন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ। কবে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে তার পুরো দায় স্থানীয় প্রশাসনের ঘাড়ে চাপিয়ে রেখেছে মোদী সরকার। আর স্থানীয় প্রশাসনের মুখে কুলুপ।

Advertisement

কাশ্মীর শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে— এটা বিশ্বকে বোঝাতে দু’দফায় আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলকে উপত্যকায় ঘুরিয়ে এনেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু দেশের বাকি অংশের রাজনৈতিক নেতাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না উপত্যকায়। এবং মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাশ্মীর যে আদৌ শান্ত হয়নি, আজ ফের এক জঙ্গি হামলায় তার প্রমাণ মিলেছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আজ সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব হন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী সরকারকে নিশানা করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও অন্য বিরোধীরা।

ছ’মাস ধরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বন্দি করে রাখার কথা উল্লেখ করে টুইটারে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘ছ’মাস আগে জানতে চাইতাম, এটা কত দিন চলবে। এখন আমাদের প্রশ্ন, ভারত কি আদৌ আর গণতন্ত্র আছে?’’

Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে মেহবুবার টুইটার আ্যাকাউন্ট সামলান তাঁর মেয়ে ইলতিজা। এ দিন ইলতিজা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছেন, ‘‘ঠিক ছ’মাস আগে আসহায় ভাবে দেখেছিলাম অফিসাররা মাকে নিয়ে গেলেন। দিন কেটে সপ্তাহ, এর পরে মাসের পর মাস কেটে গেল।
এখনও অবৈধ ভাবে আটকে রাখা হয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। নিজের দেশের মানুষেরই কণ্ঠরোধ করে রাখা একটা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটাই এখন (জর্জ) অরওয়েল বর্ণিত দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে।

মেহবুবা-ওমরদের আটক রাখা হয়েছে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১০৭ ধারায়। এই ক্ষেত্রে ধৃতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে বা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয়। কিন্তু ফারুককে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে জন নিরাপত্তা আইনে। যে আইনে কোনও কারণ না-দেখিয়ে দু’বছর পর্যন্ত বন্দি রাখা যায়। লোকসভায় আজ কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী অবিলম্বে তিন জনের মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘এক জন সাংসদকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।’’ পরে কংগ্রেস ও অন্য বেশ ক’টি বিরোধী দল লোকসভা থেকে ওয়াকআইট করে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকেও প্রসঙ্গটি তোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ফারুক আবদুল্লার স্বাস্থ্য কেমন আছে, এটুক অন্তত সংসদে জানাক সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement