অর্ণব গোস্বামীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় আজ বম্বে হাইকোর্টেও অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন না রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। মুম্বই পুলিশের হাতে নিজের ‘অবৈধ গ্রেফতারিকে’ চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বম্বে হাইকোর্ট সাংবাদিককে এ দিন অন্তর্বর্তী জামিন দেয়নি। বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং বিচারপতি এম এস কার্নিকের বেঞ্চ জানিয়েছে, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আগামিকাল এই বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।
২০১৮ সালে ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নাইক এবং তাঁর মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল বাড়ি থেকে অর্ণবকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অন্য দুই অভিযুক্তকেও। অর্ণবকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আলিবাগের দায়রা আদালত।
অর্ণবের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অভিযোগ, এই ঘটনা জরুরি অবস্থার কথা মনে করাচ্ছে। এ দিন বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছে শিবসেনা। দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘অর্ণব গ্রেফতার হওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের বিজেপি নেতারা বলছেন, মহারাষ্ট্রে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁদের এই বক্তব্যে আমরা অবাক।’’ শিবসেনার অভিযোগ, অর্ণবকে বাঁচানোর জন্য আগের রাজ্য সরকার এই মামলাটিকে ধামাচাপা দিয়েছিল। বিজেপি শাসিত গুজরাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লেখার জন্য সাংবাদিককে গ্রেফতার এবং উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকদের খুনের ঘটনাও সম্পাদকীয়তে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ‘‘পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে। আইনের চোখে প্রত্যেকে এমনকি প্রধানমন্ত্রীও সমান।" শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি-র নেতা উমেশ পাটিল বলেন, ‘‘নাইক পরিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই স্পষ্ট, মামলা বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসের হাতেই ছিল স্বরাষ্ট্র দফতর। তাঁকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করা হোক।’’