পাকিস্তানের মাটিতে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ধরা পড়া কুলভূষন যাদবের বিরুদ্ধে নাকি যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই পাক সরকারের কাছেই। কাল একটি পাক টিভি চ্যানেলকে এ কথা জানিয়েছিলেন পাক বিদেশনীতির উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস নিয়ে ভারত অভিযোগ জানালেই পাক সরকারের ‘তুরুপের তাস’ ছিলেন এই কুলভূষন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই হইচই করতে চাইছে না নয়াদিল্লি। সরতাজের বক্তব্যের যদিও ভিডিও প্রমাণ রয়েছে, তবু ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, এ নিয়ে ইসলামাবাদ যতক্ষণ না তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কোনও প্রতিক্রিয়াই জানাতে চাইছে না ভারত।
আসলে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি নিয়ে সরকারি প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত হবে না বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। এর আগে পাক সাংবাদিক সিরিল আলমেইদার লেখা পাক সরকার ও সেনা সংক্রান্ত একটি খবর সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। ওই সাংবাদিকের উপর জারি হয়েছিল নানা নিষেধাজ্ঞাও। তাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ নয়াদিল্লি।
গত মার্চে ইরান থেকে বালুচিস্তান ঢুকেছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী কুলভূষণ। সেখানেই পাক সেনা বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়েন তিনি। পাক সেনা তখন একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছিল, জেরায় কুলভূষন স্বীকার করেছেন, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর হয়ে কাজ করেন তিনি। সেনার বক্তব্য ছিল, পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই বালুচিস্তানে ঢুকেছিলেন কুলভূষন। ভারত সরকার তখনই পাক সেনার এই দাবি অস্বীকার করেছিল। নয়াদিল্লি অবশ্য বলেছিল, ভারতীয় নৌবাহিনীতে এক সময় কুলভূষন কাজ করতেন ঠিকই, কিন্তু আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি।
টিভি চ্যানেলে সরতাজ আজিজ দাবি করেছিলেন, পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষকে তিনি জানিয়েছেন, দেশের গোয়েন্দারা সরকারের হাতে যে নথিপত্র তুলে দিয়েছেন, তাতে কুলভূষনের বিরুদ্ধে তেমন জোরালো প্রমাণ নেই। আটক ওই ভারতীয়র সঙ্গে এ বার কী করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পাক সেনা ও আইএসআই। পাক বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, সরতাজ এ কথা বলেননি। তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ওই মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘উপদেষ্টা আসলে বলতে চেয়েছেন, কুলভূষন যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সেটা শেষ হলেই তাঁর বিরুদ্ধে নথিপত্র প্রকাশ করা হবে।’’