লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা। —ফাইল চিত্র।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে ইউপিএ জমানাতেও, জানালেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা। নির্বাচন চলাকালীন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে মোদী সরকার ও কংগ্রেসের মধ্যে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে কখনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়নি বলে দাবি তুলেছে বিজেপি। আবার মনমোহন সিংহের আমলে ছ’বার এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দু’বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয় বলে পাল্টা দাবি করেছে কংগ্রেস।সেই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলেছেন ডি এস হুডা। তাঁর কথায়, “আগেও একাধিক বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তার রাজনীতিকরণ হয়নি।”
২০১৬-র ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে সেনা শিবিরে হামলা চালায় একদল পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গি। তার জবাবে ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডার। সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা নিয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, “আগেও একাধিক বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকদের অনেকেই তা মেনেছেন। কবে, কোথায় অভিযান চালানো হয়েছে, তা নিশ্চিত ভাবে জানা না গেলেও, অভিযান হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হয়নি।”
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করায় সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেসকে বিদ্রুপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কোনও ভিডিয়ো গেম নয় বলে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। কিন্তু এ ভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাজনীতিকরণে তীব্র আপত্তি তুলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা। “নির্বাচনী প্রচারে সেনাবাহিনীকে টেনে আনা উচিত নয়। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জনসাধারণের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিই আমরা। রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের পদক্ষেপে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানের উপর তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে।”
আরও পড়ুন: ‘আপনার বাবা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত’, বফর্স নিয়ে রাহুলকে আক্রমণ মোদীর
আরও পড়ুন: গগৈ মামলায় অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতিদের
সেনাবাহিনীর কৃতিত্বের রাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ডি এস হুডা। ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি কমিটিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। মোদী সরকারের আমলে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা দেন।