জলমগ্ন পুণে। ছবি: পিটিআই।
বানভাসি পুণেতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামল সেনাও। শুক্রবার পর্যন্ত পুণে, রায়গড়, পালঘর এবং মুম্বইয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পুণের বহু এলাকা জলের নীচে চলে গিয়েছে। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে পুণেতে। শহর ছাড়াও শহরতলির ভেলা, মুলশি, ভর-সহ বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকে পড়ায় সেখান থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে খড়কভসলা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে। ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় মুথা নদী বিপদসীমা ছাড়িয়ে বসতি এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এমনই জানিয়েছেন জেলাশাসক সুহাস দিওয়াসে। ইতিমধ্যেই শহরের স্কুল এবং কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবারই নিম্বজানগর এলাকা থেকে ৭০ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করে দমকল। এনডিআরএফও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় সেনা ডাকতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে ডাকা হয়েছে এনডিআরএফ এবং সেনাকেও। পুণের একতানগরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা এবং এনডিআরএফ।
সিংহগড় রোডের অবস্থা ভয়াবহ। সেখান থেকে ৪০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিংহগড় রোডে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা। মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ‘এয়ারলিফ্ট’ করা হবে পুণের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টির জেরে মালিন-কুম্ভেওয়াড়ি রোডে ধস নেমেছে। ওয়ার্জের তপোধাম থেকে আরও ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার পুণের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। পুণের জেলাশাসক জানিয়েছেন, শহরের সমস্ত পর্যটকস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সুনীল কাম্বলে জানিয়েছেন, মুম্বই, পালঘর, ঠাণে এবং রায়গড়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এই জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।