Drone Attack

দেড় কিলোমিটার দূরেও নিখুঁত নিশানা! পাক ড্রোন ধ্বংস করতে সেনার নয়া অস্ত্র জ্যামার বন্দুক

উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলার কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরেই বিমান বিধ্বংসী কামানের পাশাপাশি জ্যামার বন্দুকের ব্যবহার শুরু হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৭
Share:

পাক ড্রোন ধ্বংসে সেনার নয়া অস্ত্র জ্যামার বন্দুক। ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের ড্রোন হানাদারি রুখতে বফর্সের শরণাপন্ন হয়েছিল ভারতীয় সেনা। তাতে আংশিক সুফলও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং পঞ্জাব-রাজস্থানের সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলার সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য সেনা এবং বিএসএফ-কে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শাহের পরামর্শ মেনে এ ক্ষেত্রে জ্যামার বন্দুকের ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে সেনা এবং বিএসএফ।

Advertisement

রাজীব গান্ধীর জমানায় কেনা ১৫৫ মিলিমিটার বফর্স হাউইৎজার নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ-ভারতীয় বাহিনীর ব্যবহৃত ৪০ মিলিমিটার বিমান বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামানের (অটো ক্যানন) সাহায্যে সীমান্তে পাক ড্রোনের হানাদারি রুখতে কয়েক বছর আগে সক্রিয় হয়েছিল সেনা। প্রায় ৮৫ বছরের পুরনো সেই বফর্স এল-৭০ বিমান বিধ্বংসী কামানের সাহায্যে কিছু সাফল্যও মিলেছে। ৫০০ মিটার পর্যন্ত যে কোনও উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই হালকা স্বয়ংক্রিয় কামানগুলি মোতায়েন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা ও সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়।

কিন্তু শাহ চান গুলি করে নামানোর পাশাপাশি ড্রোন হানাদারি রোখার বিকল্প পথ তৈরি করতে। আর সেখানেই আসছে ‘জ্যামার বন্দুকের’ প্রসঙ্গ। দেড় কিলোমিটার পাল্লার এই ‘জ্যামার বন্দুক’ কোনও গুলি ছোড়ে না। এর থেকে বার হওয়া বিশেষ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ উড়ন্ত ড্রোনের নিয়ন্ত্রক তরঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে সেই ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেনাবাহিনী এবং বিএসএফের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু ড্রোন দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাব সীমান্তে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ফলও মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement