নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে নির্মলা সীতারামন। পিটিআই
দেশের ছোট ও মাঝারি বেসরকারি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদকদের সম্মেলন রাজধানীর পাঁচ তারা হোটেলে। আমন্ত্রিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর আয়োজনে আরএসএসের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কখনও ‘মাননীয়’, কখনও ‘বোন’, কখনও ‘দিদি’— কী যে বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের নেতা অশ্বিনী মহাজন। বিদেশের বদলে দেশীয় উৎপাদকদের থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার আর্জি জানাতেই এই আয়োজন করেছে আরএসএস। রাফাল আবহে যা অর্থবহ।
রাফাল শব্দটি কোথাও উচ্চারণ করলেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এমনকি পরে রাফাল নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নও এড়িয়ে গেলেন। কিন্তু নিজের বক্তব্যে রাফাল নিয়ে যথেষ্ট ইঙ্গিত দিলেন। নির্মলার কথায়, সেনাদের জন্য সরঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্র কেনার প্রক্রিয়া অনেক সরল করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ চলছে। গোটা বিষয়ে নজরদারিও রাখাও হয়েছে।
সঙ্ঘের আয়োজনে সভাঘর স্বদেশিয়ানার উপরে জোর দিলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিন্তু তেমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিলেন না। বরং রাফালের নাম না-করেই বললেন, সেনার জন্য কী প্রয়োজন, সেটা তারাই ঠিক করবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি শুধু ভারতীয় সংস্থা থেকে অস্ত্রশস্ত্র-সরঞ্জাম কিনতে সেনাকে বাধ্য করতে পারেন না। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রকেও প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। দেশীয় সংস্থাগুলি যাতে বিদেশেও সমরসরঞ্জাম বেচতে পারে, সে জন্য সহায়তা করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ক’দিন আগেই ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সে কথাই আজ বার বার স্মরণ করিয়ে দেন নির্মলা।