কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত কমিটির প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে আজ তাঁর বাসভবনে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। সরকারি ভাবে ওই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে দাবি করা হলেও, সূত্রের মতে, কমিটির আলোচনার বিষয়বস্তু, আগামী দিনে বৈঠকের স্থান কী হবে, এই সব নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। এক ভোট নীতি গৃহীত হলে সংবিধান অনুযায়ী যা যা করণীয়, তা করতে তারা প্রস্তুত বলে আজ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও।
ভারতের মতো বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ওই কমিটির সদস্য হিসাবে রয়েছেন অমিত শাহ এবং বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন মেঘওয়াল। আজ ওই দুই মন্ত্রী দুপুরে কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। পরে জানা যায়, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। উভয় পক্ষের বৈঠকে কমিটি কী কী বিষয় খতিয়ে দেখবে, বৈঠক কোথায় হবে, কী ভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সব রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সব পক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরুর ব্যাপারেও কোবিন্দকে বলেন অমিতেরা।
সূত্রের মতে, কমিটির কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আমলাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে আইন মন্ত্রক। সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। অনেকে মনে করেছিলেন, ওই পাঁচ দিনের অধিবেশনে এক দেশ এক ভোট বিল সংসদে পেশ করতে পারে সরকার। কিন্তু কোবিন্দেরা এখনও কাজ শুরু না করায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কমিটির পক্ষে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনক্ষণ স্থির না হলেও, নির্বাচন কমিশন আজ জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা প্রস্তুত। এমনকী যদি সময়ের আগে নির্বাচন হয়, তার জন্যও কমিশন প্রস্তুত বলে আজ ভোপালে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কিন্তু এক দেশ এক ভোট নীতি মেনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করতে গেলে যে পরিমাণ ভিভিপ্যাট ও ইভিএম মেশিনের প্রয়োজন, তা তো কমিশনের ঘরে নেই। এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, যদি সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে পরিকাঠামোগত ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।