ফাইল চিত্র।
বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের গিলানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাসরত আলম বাট। প্রয়াত সৈয়দ আলি শাহ গিলানির সহযোগী মাসরতের ওই শীর্ষ পদে নির্বাচনকে পাকিস্তানি কৌশল হিসেবেই দেখছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, পাকিস্তানপন্থী মাসরতকে ওই পদে বসিয়ে কাশ্মীরে বড় অশান্তিতে মদত দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ।
এক সময়ে জঙ্গি সংগঠনের নেতা ছিলেন মাসরত। আপাতত তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। সেই মাসরতকেই অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্সের শীর্ষ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্তাদের মতে, এর পিছনে পাকিস্তানের হাত স্পষ্ট। আফগানিস্তানে তালিবানি দখলদারির পরে পাকিস্তানের মনোবল বেড়েছে। তারা এ বার উপত্যকায় বড় অশান্তিতে মদত দেওয়ার চেষ্টা করবে।
পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, গিলানির মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে। কিন্তু এ বার পাকিস্তান প্রমাণ করতে চাইবে হুরিয়তের গিলানি গোষ্ঠী এখন পুরোপুরি মাসরতের নিয়ন্ত্রণে। সে জন্য উপত্যকায় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হতে পারে। শুক্রবার কাশ্মীরে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা।
এক পুলিশ কর্তার মতে, বর্তমানে পাকিস্তানের বেছে নেওয়া নেতা এখন জেলে। কিন্তু আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ফলে তাদের মনোবল বেড়েছে।
পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, মাসরত ১৯৯৬ সালে জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিতে যোগ দেন। পরে গ্রেফতার হন তিনি। জেল থেকে বেরোনোর পরে যোগ দেন বিচ্ছিন্নতাবাদী মুসলিম লিগে। পরে সেই সংগঠনের প্রধান হন। ২০০৩ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে হুরিয়ত ভাগ হয়ে যায়। তখন মাসরত গিলানির গোষ্ঠীতে যোগ দেন।
এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘২০০৮ ও ২০১০ সালে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেন মাসরত। বস্তুত গিলানি হরতাল বন্ধ করতে চাইলেও মাসরত রাজি হননি। গিলানির মৃত্যুর পরে হুরিয়ত সদস্যেরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্থির হয় মাসরতকেই শীর্ষ পদ দেওয়া হবে।’’