তিন তালাক অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। এ বার সর্বোচ্চ আদালত খতিয়ে দেখবে, মুসলিমদের প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ্ হালালা প্রথা বৈধ কি না। —ফাইল চিত্র।
মুসলিমদের মধ্যে বহুবিবাহ এবং নিকাহ্ হালালার যে প্রথা প্রচলিত রয়েছে, তার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তিন তালাক প্রথা নিয়ে আগেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সোমবার জানাল, বহুবিবাহ এবং নিকাহ্ হালালার বৈধতাও এ বার খতিয়ে দেখা হবে।
তিন তালাকের সঙ্গেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল মুসলিম পুরুষের একই সঙ্গে চার জন স্ত্রী থাকার অধিকারের বৈধতাকে। চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল নিকাহ্ হালালা প্রথাকেও। এই প্রথা বলে, কোনও মুসলিম নারী যদি সেই পুরুষকে বিয়ে করতে চান, যাঁর সঙ্গে তাঁর একবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তা হলে আগে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করে তাঁর থেকে তালাক নিয়ে আসতে হবে।
তিনটি বিষয়ের বিচার একসঙ্গে করতে চায়নি আদালত। প্রথমে তিন তালাকের বৈধতা বিচার করা হবে। পরে চারটি বিয়ের প্রথা এবং নিকাহ্ হালালার বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। সর্বোচ্চ আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। ২০১৭ সালেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তিন তালাক অবৈধ। সোমবার আদালত জানাল, এ বার খতিয়ে দেখা হবে, চারটি বিয়ে এবং নিকাহ্ হালালা প্রথার সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে কি না।
আরও পড়ুন: বিহারের পর মধ্যপ্রদেশ, ফের খুন সাংবাদিক
আরও পড়ুন: তথ্য পাচার! টুইটারে ধুন্ধুমার শাসক-বিরোধীর, অ্যাপ সরিয়ে নিল কংগ্রেস
বহুবিবাহ এবং নিকাহ্ হালালার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে বলে যে বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি এ এম খানবিলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বহুবিবাহ এবং নিকাহ্ হালালার বৈধতা খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে।