Supreme Court

মধ্যপ্রদেশে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

শীর্ষ আদালত এ দিন নির্বাচন কমিশনকেও কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে আরও কঠোর হতে বলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫১
Share:

নির্বাচন কমিশনকে  শীর্ষ আদালত করোনাবিধি পালন করা হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে কঠোর হতে বলেছে। ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রদেশে ২৮ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারে জনসভা, জমায়েত প্রভৃতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে প্রার্থীদের শুধু ভার্চুয়াল প্রচারের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। তবে নির্বাচন কমিশনকে শীর্ষ আদালত করোনাবিধি পালন করা হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে কঠোর হতে বলেছে।

Advertisement

এএম খানউইলকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গ্বালিয়র বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও নির্বাচন কমিশনকে কোভিড নিয়ামাবলী মেনে চলার আরও সতর্ক হতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আগামী ৩ নভেম্বর যে ২৮ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে, হাইকোর্টের নির্দেশে সেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া কার্যত ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল তারা।

হাইকোর্ট গত ২০ অক্টোবর তাদের রায়ে বলেছিল, ওই উপনির্বাচনে কোনও প্রার্থীই জনসমাবেশ করতে পারবেন না। প্রচার চালাতে হবে ভার্চুয়ালি। কেবলমাত্র যে সমস্ত জায়গায় তা সম্ভব হবে না, সেখানে জেলাশাসকের অনুমতিক্রমে সভা করা যাবে। যদিও সেই সভাও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষ। এই ধরনের সভার জন্য সমাবেশে সম্ভাব্য উপস্থিতির দ্বিগুণ সংখ্যক মাস্ক ও স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রার্থীকে সভার আগে জমা দিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ৪৮০ জনের, ৩ মাসের মধ্যে দেশে সবচেয়ে কম

শীর্ষ আদালত এ দিন নির্বাচন কমিশনকেও কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যাপারে আরও কঠোর হতে বলে। আদালত বলে, ‘‘ যদি কোভিড মোকাবিলার নির্দেশিকা মেনে চলা হত, তবে হাইকোর্টকে প্রচারের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হত না। দুই বিজেপি প্রার্থীও শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ওই দুই প্রার্থী জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে বেশ কিছুদিন প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশন যেন তাঁদের প্রচারের জন্য অতিরিক্ত ৭ দিন সময় দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement