Anubrata Mondal

পিছোল শুনানি, পঞ্চায়েত ভোটে জেলেই অনুব্রত

জামিনের আর্জি মামলায় অনুব্রতের হয়ে আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা যুক্তি দেন, আসানসোল জেলে অনুব্রতকে গ্রেফতারের পরে আইনমাফিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:২৮
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইডি-র মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পাওয়ার প্রচেষ্টা ধাক্কা খেল। গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিন না পেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, আসানসোল জেলের মধ্যে গ্রেফতারের সময় ইডি আইন অনুযায়ী কাজ করেনি। কিন্তু ইডি জামিনের বিরোধিতা করে জনিয়েছে, সিবিআই গ্রেফতার করার পরে অনুব্রত জেলে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি জামিন পেয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা থেকেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে। যার অর্থ, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি হাই কোর্ট থেকে ইডি-র হামলায় জামিন পাচ্ছেন না।

Advertisement

অনুব্রতকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবীরা দিল্লি হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাসের মামলা করেছিলেন। কাউকে বেআইনি ভাবে আটক করা হয়েছে অভিযোগে হেবিয়াস কর্পাসের মামলায় আদালতের কাছে ওই ব্যক্তিকে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশের আর্জি জানানো হয়। কিন্তু সেই মামলাও ধোপে টেকেনি। অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈনের বক্তব্য ছিল, ৮ মে-র পর থেকে অনুব্রতকে বেআইনি ভাবে তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে। তাঁকে জেলে পাঠানোর কোনও নির্দেশ জারি হয়নি। তার পরে তাঁকে আদালতেও পেশ করা হয়নি। কিন্তু বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্থ প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রতের শরীর খারাপ বলে আইনজীবীরাই তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে পেশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। শুনানি চলাকালীনই অনুব্রতের আইনজীবী মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জামিনের আর্জি মামলায় অনুব্রতের হয়ে আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা যুক্তি দেন, আসানসোল জেলে অনুব্রতকে গ্রেফতারের পরে আইনমাফিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়নি। ইডি-র হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গ্রেফতারের পরের দিনই আদালতে হাজিরার পরোয়ানার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। আইনমাফিক সেখানেই গ্রেফতারির কথা আদালতকে জানানো হয়েছিল।এর আগে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আর্জি, আসানসোল জেলে ফেরত পাঠানোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ। অনুব্রতের তরফে বিচারক পক্ষপাতিত্ব করছেন বলে মামলা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ইডি জবাব জানানোর জন্য আরও সময় চাওয়ায় বিচারক অঙ্কুর ভরদ্বাজ ইডি-কে ১৪ দিন বাড়তি সময় দিয়েছেন। ১৯ জুলাই ফের শুনানি হবে। সূত্রের খবর, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট, দিল্লি হাই কোর্ট, কোথাও সুরাহা না মিললে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement