অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
তিহাড় জেলে আটক অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচারে বাকি অভিযুক্তদের থেকে সরিয়ে অন্য ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হল। তবে তার কারণ জানা যায়নি, তাঁদের কোনও খবরও দেওয়া হয়নি বলে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের দাবি। তাঁরা শুধু জানতে পেরেছেন, অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ। মাঝে একদিনের জন্য তাঁকে জেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বাবা অসুস্থ শুনে আজ অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের আদালত চত্বরেই কেঁদে ফেলেন।
গরু পাচার মামলায় ধৃতদের আজ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হয়। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ গরু পাচারে ধৃত সকলের জেল হেফাজতের মেয়াদ ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সুকন্যা, একদা অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগল হোসেন ও বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমারকে আদালতে নিয়ে আসা হলেও তিহাড় জেলের তরফে অনুব্রতকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আদালতে হাজির করানোর অনুমতি চাওয়া হয়। তখনই জানা যায়, তিনি অসুস্থ। একই জেলে আটক থাকলেও সুকন্যার
তা জানা ছিল না। বাবার শরীর খারাপ শুনে আদালতে কেঁদে ফেলেন সুকন্যা। সেহগল হোসেনের কাছেও অনুব্রত সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।
অনুব্রতের আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে একদিনের জন্য জেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তাঁকে সাত নম্বর ব্যারাক থেকে সরিয়ে তিন নম্বর ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তার কারণ জানা যায়নি। কোনও খবরও দেওয়া হয়নি। অন্য অভিযুক্তরা সাত নম্বর ব্যারাকেই রয়েছেন। সেহগল তাঁকে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে না কি অনুব্রতে সরানো হয়েছে!
অনুব্রতের তরফে বিচারক রঘুবীর সিংহের এজলাস থেকে মামলা অন্যত্র সরানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। ২৪ অগস্ট তার রায় জানা হবে। অনুব্রতের জামিনের আর্জির মামলাও দিল্লি হাই কোর্টে ঝুলে রয়েছে। অনুব্রতের আইনজীবীরা আশা করছেন, ২১ সেপ্টেম্বরের আগেই অনুব্রত জামিনে তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন।