মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, তাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ হিসাবে ৩৮৪টি নাম রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
অম্বল হলেই মুঠো মুঠো র্যানট্যাক বা জিনট্যাক খাওয়ার দিন কি শেষ? এ ধরনের অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটে থাকা একটি জরুরি উপাদানকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে বাদ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার মন্ত্রকের তরফে প্রয়োজনীয় ওষুধের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সল্ট র্যানিটিডিন-সহ মোট ২৬টি ওষুধকে তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অ্যাসিলক, জিনট্যাক এবং র্যানট্যাক-সহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হয় র্যানিটিডিন। অম্বল বা অনেক সময় পেটব্যথা সংক্রান্ত সমস্যার উপশমে সাধারণত এই ট্যাবলেটগুলির দাওয়াই দেওয়া হয়। যদিও র্যানিটিডিনের মধ্যে থাকা এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন (এনডিএমএ) নামে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, তাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ হিসাবে ৩৮৪টি নাম রয়েছে। তবে সে তালিকা থেকে র্যানিটিডিন, সেট্রিমাইড, প্রোকার্বাজিন-সহ মোট ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ২৬টি ওষুধের উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বস্তুত, অনেক দিন ধরেই র্যানিটিডিন নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন আমেরিকা-সহ এ দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। ২০১৯ সালে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এতে ক্যানসার হয় এমন উপাদান এনডিএমএ-এর অস্বস্তি খুঁজে পায়। তার পর থেকেই এটি দেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে সরানোর চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছিল। এ বিষয় নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর সঙ্গে আলোচনা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।