ভুবনেশ্বর স্টেশনে প্ল্যাকার্ড হাতে শেষ বার দেখা গিয়েছিল পুতিন বিরোধী ওই রুশ নাগরিককে। ছবি সংগৃহীত।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাশিয়ার এক নাগরিকের উধাও হওয়া ঘিরে নতুন করে রহস্য ঘনাল ওড়িশায়। শুক্রবার ভুবনেশ্বর রেলস্টেশনে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ওই রুশ নাগরিককে। স্টেশনে প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন তিনি। শুক্রবার থেকে ওই রুশ নাগরিকের খোঁজ না মেলায় রহস্য তৈরি হয়েছিল। তবে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ নন বলে শনিবার দাবি করেছে ওড়িশা পুলিশ।
সম্প্রতি ওড়িশার রায়গড়ায় একটি হোটেলের বাইরে দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল পুতিনের সমালোচক বলে পরিচিত রাশিয়ার আইনসভার সদস্য পাভেল অ্যান্টভের। তার ঠিক দু’দিন আগেই পাভেলের সঙ্গী আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল ওই হোটেলেই। ঘটনাক্রমে এর আগে রাশিয়ায় পুতিনের আরও দুই সমালোচকেরও মৃত্যু হয়েছিল এ ভাবেই। ফলে এই জোড়া মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওড়িশায়। এর মধ্যেই শুক্রবার নতুন করে পুতিন বিরোধী আরও এক রুশ নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ষাটোর্ধ্ব ওই রুশ নাগরিকের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। ভুবনেশ্বর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তাঁকে দেখেছেন কয়েক জন যাত্রী। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘আমি রাশিয়ার এক শরণার্থী। আমি যুদ্ধের বিরোধী। পুতিনের বিরোধী। আমার ঘরবাড়ি নেই। দয়া করে সাহায্য করুন।’’
ভুবনেশ্বরে রেলওয়ে থানার আইসি জয়দেব বিশ্বজিৎ বলেছেন, ‘‘স্টেশনে রাশিয়ার ওই নাগরিকের ছবি তুলেছেন কয়েক জন যাত্রী। ওঁর ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।’’ কয়েক দিন আগেও ওই রুশ নাগরিক একই প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিলেন। সেই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
আইসি আরও জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তিকে ভুবনেশ্বর পুরসভার আশ্রয় শিবিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
তবে শনিবার ওড়িশার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, বেশ কয়েক দিন ধরেই রাশিয়ার ওই নাগরিক ওড়িশাতে ছিলেন। এক মাস আগেও ভুবনেশ্বর স্টেশনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রুশ নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি জিআরপিতে। এই ঘটনার সঙ্গে রায়গড়ায় দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যুর কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন রেলওয়ে পুলিশের আরও এক আধিকারিক। তবে রুশ নাগরিক বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি।