ভাইপো অজিত পওয়ার এবং কাকা শরদ। ফাইল চিত্র।
শিবসেনার পর এ বার মহারাষ্ট্রে এনসিপিতে ভাঙন ধরাতে পারে বিজেপি। গত কয়েক মাস থেকেই জল্পনা চলছে, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিতের সঙ্গে গোপনে পদ্মশিবিরের ‘যোগাযোগ’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অজিত তাঁর সরকারি গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধা ছেড়ে দিয়েছেন। দলীয় সমস্ত কর্মসূচিও বাতিল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে এনসিপিতে।
অতীতেও কাকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিজেপির হাত ধরেছিলেন অজিত। কিন্তু পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে আবার এনসিপিতে ফিরেছিলেন। এ বার আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন অজিত ঘনিষ্ঠ ৭ জন এনসিপি বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের অযোধ্যা সফরের আগে এই ঘটনা মরাঠা রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে চলেছে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন।
একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে শিবসেনায় ভাঙন এবং উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাডী’র বৃহত্তম দল হয়েছে এনসিপি। দলের পরিষদীয় নেতা হিসেবে গত জুলাই মাসে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন অজিত। তার আগে উদ্ধব সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তিনি দল ছাড়লে এনসিপি সঙ্কটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। সে সময় কাকার বক্তৃতার মাঝেই বৈঠক ছেড়ে চলে যান অজিত। বস্তুত, তার পর থেকেই তাঁর এনসিপি ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছে মরাঠা রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরেও এনসিপি প্রধান শরদের ভাইপো অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়ে তাঁদের দু’জনকে। অজিত আবার শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন শরদ।