দেখতে সাধারণ ধূসররঙা ওই পায়রার পায়ে আটকানো স্টিকার। প্রতীকী ছবি।
এক সপ্তাহ পরে আবার ‘সন্দেহজনক’ পায়রা হাজির পুরীতে। এর আগে কোনার্কের কাছে পুরীর উপকূলে পায়ে ক্যামেরা বাঁধা একটি পায়রা ধরেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এ বার পুরীর নানপুরে পাওয়া গেল পায়ে স্টিকারের মতো কাগজ বাঁধা পায়রা! মোট দু’টি কাগজের স্টিকার আটকানো রয়েছে পায়রাটির পায়ে। তার মধ্যে একটিতে লেখা রয়েছে সংখ্যা। অন্যটিকে কয়েকটি ইংরেজি শব্দের সমাহারে দুর্বোধ্য সাংকেতিক বার্তা।
দেখতে সাধারণ ধূসর ওই পায়রার পায়ে সোনালি এবং সাদা রঙের স্টিকার দু’টি আটকানো ছিল। সাদা রঙের ট্যাগে লেখা রয়েছে ‘৩১’। সোনালি ট্যাগে ইংরেজি হরফে লেখা ‘রেড্ডি ভিএসপি ডিএন’। দু’টি সাংকেতিক বার্তারই অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুরীতে পর পর দু’টি সন্দেহজনক পায়রা উদ্ধারের ঘটনায় ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য।
এর আগের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৮ মার্চ। পুরীর কোনারক এলাকার রামচণ্ডী সৈকতের কাছে সারথি নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে এসে বসেছিল সাদা রঙের একটি পায়রা। তার পায়ে বাঁধা রয়েছে গোপন ক্যামেরা। গায়েও লেখা উর্দু এবং চিনা ভাষায় সাঙ্কেতিক বার্তা। পায়রাটিকে ধরেছিলেন ওই ট্রলারের মালিক এক মাছ ব্যবসায়ী। তিনিই পায়রাটিকে উপকূল নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। সেই ঘটনার ঠিক সাত দিনের মাথায় বুধবার পুরীর অষ্টরঙ্গ থানার অধীনে নানপুরের বাসিন্দারা আরও একটি পায়রা ধরেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই পায়রাটির পায়ে স্টিকারের দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। তার পরেই মাছ ধরার জাল ব্যবহার করে পায়রাটিকে ধরেন গ্রামবাসীরা। খবর দেন পুলিশকেও।