—প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তারি পড়তে যাওয়া এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল রাজস্থানের কোটায়। ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান। তবে কোনও চিঠি পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ থেকে। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় পড়ুয়ামৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৯-এ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম নিশা যাদব (২১)। উত্তরপ্রদেশের অরাইয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কোটায় গিয়েছিলেন। গত বুধবার, ২৯ নভেম্বর তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তরুণী কোটার মহাবীর নগর এলাকায় একটি হস্টেলে থাকতেন। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট) জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কেন মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বুধবার রাতে মেয়েকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পর তিনি হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তাঁদের জানান, তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁরা যেন মেয়েকে তাঁর ফোনের বিষয়ে জানান।
হস্টেলের লোকজন তরুণীর ঘরে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। ফলে দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, সিলিং থেকে ঝুলছে তরুণীর দেহ।
পুলিশ তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার দু’দিন আগেই কোটায় আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই ছাত্রও কোটায় ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন। ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনিও থাকতেন মহাবীর নগরেই।