প্রতীকী ছবি।
ফের এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজধানী দিল্লি। এ বারের ঘটনাটি গুরুগ্রামের।
বাড়িওয়ালার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। সেই বিশ্বাস থেকেই গুরুগ্রামে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতে কিশোরী মেয়েকে কাজের জন্য পাঠিয়েছিলেন দিনমজুর বাবা। মাসখানেক পেরোতে না পেরোতেই বাড়ি ফিরল মেয়েটির মৃতদেহ। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাকে। এমন কি, দেহটি দ্রুত দাহ করার জন্যেও চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রবীণ নামে বাড়িওয়ালার ওই আত্মীয়কে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাড়িওয়ালা ও তাঁর স্ত্রীকেও। গুরুগ্রামের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পকসো আইনে প্রবীণ-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই কিশোরী বাবা, মা ও তিন ভাই বোনের সঙ্গে পশ্চিম দিল্লিতে ভাড়া থাকত। গত ১৭ জুলাই, বাড়িওয়ালার স্ত্রীর অনুরোধে গুরুগ্রামে তাঁর ভাই প্রবীণের বাড়িতে মেয়েটিকে কাজ করতে পাঠানো হয়। ২৩ অগস্ট দুপুর তিনটে নাগাদ কিশোরীটির বাবাকে সেখান থেকে ফোন করে জানানো হয় যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। ঠিক তার ঘণ্টা চারেক পরেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে মেয়েটির দেহ তার বাড়িতে নিয়ে আসেন বাড়িওয়ালার স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে দাহের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণও নিয়ে আসা হয়। মেয়েটির বাবাকে চাপ দেওয়া হয় দ্রুত মেয়েকে দাহ করার জন্য।
তবে সে সময়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা মেয়েটির দেহটি দেখতে চান। দেখা যায়, ওই কিশোরীর মুখে ও পিঠে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশে খবর দেন মেয়েটির বাবা। দিল্লির হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরs জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, দিন ১০-১৫ আগেও মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে বলে আঁচ করেননি তিনি।