কাপুরথালার নিজামপুর গ্রামে একটি গুরুদ্বারে লাগানো শিখ পতাকা খুলে নেওয়ার অভিযোগে আরও এক যুবককে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা।
স্বর্ণমন্দিরকে ‘অপবিত্র’ করার অভিযোগে শনিবারই এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পঞ্জাবের অমৃতসরে। রবিবার ভোর রাতে হুবহু একই ঘটনা ঘটল ওই রাজ্যের কপূরথালা জেলায়। কপূরথালার নিজামপুর গ্রামে একটি গুরুদ্বারে লাগানো শিখ পতাকা খুলে নেওয়ার অভিযোগে আরও এক যুবককে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুরুদ্বারের শিখ পতাকা খুলে ধর্মকে অবমাননা করার অভিযোগে এক যুবককে পেটানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, গ্রামবাসীদের সামনেই ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা চলাকালীনই তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিয়োতে ওই গুরুদ্বারের কেয়ারটেকার অমরজিৎ সিংহ জানান, ভোর ৪টের সময় প্রার্থনা সেরে গুরুদ্বার থেকে বেরনোর সময় তিনি দেখেন, গুরুদ্বারের নিশান সাহিব (শিখ পতাকা) খোলার চেষ্টা করছেন এক যুবক। যুবককে ধরারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি। ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই গ্রামবাসীদের হাতে ওই যুবক ধরা পড়েন।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনা চলাকালীন আচমকাই এক ব্যক্তি শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থ সাহেব’-এর সামনে রাখা তরোয়াল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন উত্তেজিত জনতা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনা ঘটল পঞ্জাবে।
স্বর্ণমন্দিরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে পঞ্জাব সরকার। ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন অমৃতসরের ডিসিপি আইন-শৃঙ্খলা। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ স্বর্ণমন্দিরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী।