ব্রজেশ ঠাকুর। ছবি পিটিআই।
মুজফফরপুরের বেসরকারি হোমের পরিচালক, জেলবন্দি ব্রজেশ ঠাকুরের সঙ্গে বিহারের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পেরেছে সিবিআই। ওই মন্ত্রীর সময়েই ব্রজেশের সংস্থাকে সবচেয়ে বেশি সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি টেন্ডারও পেয়েছিল হোমে ধর্ষণের মাথা ব্রজেশ। জেলের ভিতরে ব্রজেশের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফোন নম্বরের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ওই প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম। ব্রজেশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ ফোনালাপের প্রমাণ পাওয়ার পরে জামুইয়ে গিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল। ওই এলাকায় বেশ কয়েক জনকে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। তবে আপাতত এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি গোয়েন্দারা।
২০১৩ সাল থেকে ব্রজেশ ঠাকুরের সংস্থা ‘সেবা সংকল্প’ এবং ‘বিকাশ সমিতি আবাসিক হোম’-এর দেখভাল করছে। হোমের রেকর্ড অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সেখানে ৪৭১ জন কিশোরী এসেছে, গিয়েছে। কয়েক জন কিশোরী দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে থেকেছে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, কিশোরীদের দেখভালের জন্য সরকারের কাছ থেকে বছরে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে ব্রজেশের সংস্থা। এ ছাড়া ব্রজেশের ওই সংস্থা আরও ছ’টি প্রকল্পও চালিয়েছে। সেখান থেকেও প্রায় কোটি টাকা এসেছে এনজিওটির তহবিলে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরে ব্রজেশের বিপুল সম্পদের হদিশ পেয়ে তাক লেগেছে তদন্তকারীদের।
গত কাল ব্রজেশের মানিকানাধীন সংবাদপত্রের পটনার অফিসে অভিযান চালায় সিবিআই। বিহার মিউজিয়াম লাগোয়া ওই অফিস থেকে বেশ কিছু আপত্তিকর সামগ্রী পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তিন কার্টন কন্ডোম উদ্ধার হয়েছে বলে ‘সিজার লিস্ট’-এ দেখানো হয়েছে। প্রথম দু’টি বাক্সে অব্যবহৃত কন্ডোম পাওয়া গেলেও তৃতীয় বাক্সের সমস্ত কন্ডোম ব্যবহৃত বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কেন বা কী উদ্দেশ্যে তা রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া, বেশ কিছু বলবর্ধক ওষুধও উদ্ধার করা হয়েছে।