কিশনগঞ্জের বাহাদুরগঞ্জে নদীর উপরের সেই সেতু। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে এক সপ্তাহে চতুর্থ বার ভাঙল সেতু। এ বার কিসানগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ ব্লকে। সেতুটি মাঝখান থেকে বসে গিয়েছে। নীচ দিয়ে যে নদীটি বয়ে গিয়েছে, তার উপর বসে গিয়েছে ওই সেতু। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। তবে সেতুটি পরিত্যক্ত বা নির্মীয়মাণ নয়। নিয়মিত তার উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করত। ফলে এই ঘটনায় বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। সেতু ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছন বাহাদুরগঞ্জ থানার আধিকারিকেরা। তাঁরা দু’দিক থেকে সেতু ঘিরে ফেলেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
বাহাদুরগঞ্জের এই সেতুটি ৭০ মিটার দীর্ঘ এবং ১২ মিটার চওড়া। ২০১১ সালে এই সেতু তৈরি করা হয়েছিল। বিহারের কঙ্কাই নদীকে মহানন্দার সঙ্গে জুড়েছে কঙ্কাইয়ের ছোট্ট উপনদী মাদিয়া। সেই নদীর উপরেই বাহাদুরগঞ্জের সেতু তৈরি করা হয়। সম্প্রতি ওই নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই সেতু ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিসানগঞ্জের জেলাশাসক তুষার সিংলা জানিয়েছেন, নেপাল এবং সংলগ্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তর ভারতের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়েছে। বিহারের কঙ্কাই এবং মাদিয়াতেও জল গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে। সেই কারণেই এই বিপর্যয়। সড়ক নির্মাণ বিভাগের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, নদীর স্রোতে সেতুর স্তম্ভগুলি আরও অন্তত এক থেকে দেড় ফুট ডুবে গিয়েছে। সেতুর কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সেতুর মাঝের অংশটি নীচের দিকে বসে গিয়েছে। তা নদীর জলও স্পর্শ করে ফেলেছে। যে কোনও মুহূর্তে ওই সেতু জলে পুরোপুরি পড়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে। যদিও সে সব ছবি এবং ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বিহারের সিওয়ান, আরারিয়া এবং মোতিহারি জেলায় গত এক সপ্তাহে আরও তিনটি সেতু ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। আরারিয়াতে নির্মাণকাজ চলাকালীন একটি সেতু ভেঙে পড়েছিল কিছু দিন আগে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার সিওয়ানে আরও একটি সেতু ভেঙে পড়ে। গণ্ডক খালের উপর ৪০ বছরের পুরনো সেই সেতু ছিল মহারাজগঞ্জ এবং দ্বারভাঙ্গা জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোতিহারিতে ভাঙে নির্মীয়মাণ আরও একটি সেতু। কিসানগঞ্জের ঘটনা এক সপ্তাহে চতুর্থ।