Mansukh Hiren

আরও ঘনীভূত অম্বানী-রহস্য, মনসুখের দেহ উদ্ধারের জায়গা থেকে মিলল আরও একটি দেহ

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে মনসুখের মৃত্যুর ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২১ ১৫:২৬
Share:

মৃতদেহ উদ্ধারের পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।

শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি যে গাড়ির মালিক মনসুখ হীরেনের মৃতদেহ যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকেই শনিবার সকালে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় অম্বানী-রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। এই মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে মনসুখের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ মুমব্রার রেতি বুন্দের ক্রিক থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মুমব্রা পুলিশ, আঞ্চলিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও দমকল মিলে দেহটি উদ্ধার করে। দেহটি শেখ সেলিম আবদুল (৪৮) নামের এক ব্যক্তির। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, এটি নিছকই আত্মহত্যা। তবে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে না পুলিশ। কিছু দিন আগে একই জায়গা থেকে মনসুখ হীরেনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাই এই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির বাইরে একটি পরিত্যক্ত গাড়িতে ২০টি জিলেটিন স্টিক ও একটি হুমকি চিঠি উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গাড়িটি মনসুখ হীরেন নামে এক ব্যক্তির। তার কিছুদিন পরেই ৫ মার্চ রেতি বুন্দের ক্রিক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

এই ঘটনার তদন্ত ভার তুলে নেয় এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। ঘটনায় নাম জড়ায় মুম্বই পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার সচিন ওয়াজের। মনসুখের পরিবার অভিযোগ করে, গাড়িটি ব্যবহার করতেন সচিন। অভিযোগের পরে সচিনকে জেরা করা শুরু করে এনআইএ। জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

কী ভাবে এই ঘটনা ঘটেছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শনিবার সচিনকে নিয়ে ফের ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়। এই ঘটনার পিছনে সচিনের হাত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই এনআইএ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement