গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
অগ্নিদগ্ধ দেহটা প্রথম গ্রামবাসীরাই দেখেছিলেন ক্ষেতে পড়ে থাকতে। পাশে পড়ে থাকা জুতো জোড়া দেখে তাঁরা এক প্রকার নিশ্চিত হন, দেহটি গ্রামের আনাজ ব্যবসায়ীর! সেই মতো পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। জানানো হয় পরিবারের লোকেদেরও। তাঁরা পুলিশকে জানান, কয়েক ঘণ্টা ধরেই ব্যবসায়ীর হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এর পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়। ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা পরেই বাড়িতে ফোন এল সেই ‘মৃত’ ব্যক্তির!
অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার ঘটনা। শুক্রবার সকালে রঙ্গমপেট মণ্ডলের ভিরামপালেম গ্রামের ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। রঙ্গমপেট থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার জানান, গ্রামবাসীরাই প্রথম দেহটি দেখেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, দেহটি গ্রামের আনাজ ব্যবসায়ী কেতামাল্লা পুসায়ার। জুতো জো়ড়া দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন, কেতামাল্লাকে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠিয়ে দেয়। এর পরেই পরিবারের কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন তুলে তারা দেখে, কেতামাল্লাই ফোন করেছেন!
পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, কেতামাল্লা ফোন করে জানান, তিনি এখনও বেঁচে রয়েছেন। তাঁকে যাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কেতামাল্লার বলে দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি যখন ক্ষেতের পাশ হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক পেট্রল ঢেলে একটি মৃতদেহ জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি তাঁদের বাধা দেন। সেই সময় তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে মারধরও করা হয়। তাতে তিনি সংজ্ঞা হারান। যখন জ্ঞান ফেরে, দেখেন, একটি ক্ষেতে পড়ে রয়েছেন তিনি। এর পরেই এক পথচারীর থেকে ফোন নিয়ে বাড়িতে ফোন করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। ওই পোড়া দেহটি কার, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।