নিহত বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বর রাও। ছবি: সংগৃহীত।
অন্ধ্রপ্রদেশের এক বিধায়ক সহ তেলুগু দেশমের এক নেতাকে গুলি করে খুন করা হল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে মাওবাদী গেরিলাদের হাতেই খুন হয়েছেন এই দুই নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনম থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে থুটাঙ্গি গ্রামে। নিহতরা হলেন আরাকু-র তেলুগু দেশম বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বর রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিবেরি সোমা।
আক্রমণ হয় পরিকল্পনা মাফিকই। এই মুহূর্তে সারা দেশেই ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলছে মাওবাদীদের প্রতিষ্ঠা সপ্তাহের উদযাপন। দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের হিটলিস্টে ছিলেন আরাকুর বিধায়ক সর্বেশ্বর রাও। বিভিন্ন সময় এই কথা বিবৃতি দিয়েও জানায় তারা। তাঁকে খুন করার জন্য প্রতিষ্ঠা দিবসের সময়টাই বেছে নিল মাওবাদীরা।
আরাকু-র প্রাক্তন বিধায়ক সিবেরি সোমার সঙ্গে নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রের দুম্বিগ্রুদায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথেই হামলা চালায় মাওবাদীরা। হামলাকারীদের মধ্যে ছিল ৬০ জন মাওবাদী গেরিলা, যাদের অধিকাংশই মহিলা। সর্বেশ্বর রাও এবং সিবেরি সোমাকে ঘিরে ধরে তাঁরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা পাল্টা গুলি চালালেও মাওবাদীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়ককে রক্ষা করা যায়নি। ঘটনার পরই মাওবাদী দমনে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত গ্রেহাউন্ড বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশের সমস্ত বিধায়ককে গ্রামাঞ্চলে যাওয়ার আগে পুলিশকে জানিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জঞ্জালে লুকিয়ে জেল থেকে পালাল বন্দি
প্রাথমিত তদন্তে জানা গিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই নিহত বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বর রাও-এর গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন মাওবাদীরা। এলাকার বক্সাইট খনি থেকে অবৈধ ভাবে আকরিক তোলা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। কংগ্রেস থেকে তেলুগু দেশমে আসা এই বিধায়ককে এই নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল মাওবাদীরা।
আরও পড়ুন: শ্বশুরকে গাছে বেঁধে বউমাকে নগ্ন করে মারধর, যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো, তোলপাড় অসম
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)