Andhra Pradesh

জামাইয়ের মাথা কেটে কাটা মুন্ডু নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ শ্বশুরের

ঝগড়া চলতে চলতে ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাইয়ের মুন্ডু কেটে দিল শ্বশুর। তার পর সেই কাটা মুন্ডু নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করল সে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বিশাখাপত্তনম শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ১৪:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ঝগড়া চলতে চলতে ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাইয়ের মুন্ডু কেটে দিল শ্বশুর। তার পর সেই কাটা মুন্ডু নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করল সে। রবিবার এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার অন্নভরম থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে।

Advertisement

অন্নভরম থানার সার্কল ইনস্পেক্টর রামবাবু জানিয়েছেন, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ধারা জগন্নাধাপুরম গ্রামে। ওই গ্রামের পাল্লা সত্যনারায়ণ (৫৬) গলা কেটে খুন করেছে তার জামাই পম্পানাপোনিয়া লক্ষ্মণকে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। সত্যনারায়ণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সত্যনারায়ণের মেয়ে পাভানি ১০ মাস আগে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে। তার পর থেকে লক্ষ্মণ ও পাভানির দুই সন্তান সত্যনারায়ণের কাছেই থাকে। পাভানির বাৎসরিক পারলৌকিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠানের লক্ষ্মণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সত্যনারায়ণ। সেই উপলক্ষে ৮ অগস্ট জগন্নাধাপুরমে এসেছিলেন লক্ষ্মণ।

Advertisement

আরও পড়ুন: সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশ, দেশে মোট আক্রান্ত ২২ লক্ষ ছাড়াল

রামবাবু এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘৯ অগস্ট, রবিবার সত্যনারায়ণ লক্ষ্মণের দুই সন্তানকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না লক্ষ্মণ। সে সত্যনারায়নকে তার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করতে বলে। লক্ষ্মণের দাবি ছিল, সে বিয়ে করলে তার স্ত্রী ওই বাচ্চাদের দেখাশোনা করবে। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সত্যনারায়ণ। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। তখনই ধারালো অস্ত্রের কোপে লক্ষ্মণের মাথা কেটে দেয় সত্যনারায়ণ।’’ এই ঘটনার পর সত্যনারায়ণ নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।

আরও পড়ুন: আত্মহত্যার চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাল ফেসবুক, দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement