পরিবারের দাবি, শিশুপুত্রের সামনেই নিজেকে শেষ করেন মত্ত যুবক। —প্রতীকী ছবি।
মদ্যপান করে রাতে বাড়ি ফিরে সটান নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই ডেকে নিয়েছিলেন ৪ বছরের শিশুপুত্রকে। নিজের মোবাইলটি তার হাতে দিয়ে ভিডিয়ো করতে বলেন। এর পর শিশুপুত্রের সামনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। শিশুপুত্রের চিৎকার শুনে ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন পরিবারের সদস্যেরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের ওই মৃত যুবকের পরিবার। বুধবার গভীর রাতের এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে অন্ধ্রের কডপা শহরের পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃতের এক বোন। এর পরই তা সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে বাবার মৃত্যুর পর থেকে মানসিক অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন কডপ্পা-২ টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা শেখ জামাল বালি (৩৬)। প্রায়শই মত্ত হয়ে ঘরে ফিরতেন। তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে কুয়েতে থাকেন। মা, বোন এবং তিন মেয়ে ও এক শিশুপুত্রের সঙ্গে থাকতেন পেশায় ট্রাকচালক জামাল।
পরিবারের দাবি, বাবার মৃত্যুর পর নেশা করতে শুরু করেছিলেন জামাল। বুধবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ মত্ত হয়ে সোজা নিজের তিনতলার ঘরে চলে যান। সে সময় তাঁর পরিবারের বাকি সদস্য একতলায় ছিলেন। অভিযোগ, নিজের ঘরে শিশুপুত্রকে ডেকে মোবাইলে তাঁর ভিডিয়ো রেকর্ড করতে বলেছিলেন জামাল। এর পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। বাবাকে এ অবস্থায় দেখে চিৎকার করে ওঠে শিশুটি। তাঁর চিৎকার শুনে মা-বোন ঘরে গিয়ে জামালকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে কডপার রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ নিয়ে যান তাঁরা। সেখানকার চিকিৎসকেরা জামালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর কডপ্পা-২ টাউন থানায় অভিযোগ করে পরিবার।
মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন কডপ্পা-২ টাউন থানার সাব-ইনস্পেক্টর জয়া রামুলু। তিনি আরও জানিয়েছেন, জামালের মোবাইল থেকে আত্মঘাতী হওয়ার ভিডিয়োটি এক আত্মীয়কে পাঠানো হয়েছিল। এর পরই সেটি ‘লক’ হয়ে যায়। ওই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে তা ‘আনলক’ করার চেষ্টা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।