Ananya Panday

আরও ‘হেমা কমিটি’র দাবি তুললেন অনন্যা

মালয়ালম ফিল্ম জগতে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কেরল সরকার। তার পর থেকে একের পর এক ‘মিটু’ অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৮
Share:

অনন্যা পান্ডে। —ফাইল চিত্র।

চলচ্চিত্র জগতে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও বৈষম্য প্রতিরোধে সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হেমা কমিটির মতো কমিটি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

Advertisement

মালয়ালম ফিল্ম জগতে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কেরল সরকার। তার পর থেকে একের পর এক ‘মিটু’ অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। মুখ খুলছেন কেরলের বহু অভিনেত্রী। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়েই। বলিউড-সহ সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হেমা কমিটির মতো কমিটির প্রয়োজন রয়েছে বলে এ বার দাবি করলেন অনন্যা। তাঁর কথায়, ‘‘সব ইন্ডাস্ট্রিতেই হেমা কমিটির মতো পরিসর থাকা দরকার। ইদানীং কিছু বদল দেখা যাচ্ছে। কিছু প্রযোজক-পরিচালক চুক্তিপত্রে হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে রাখছেন। কিন্তু আরও অনেক দূর এগোতে হবে। এটা শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারও নয়।’’ কমবয়সি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উদ্দেশে অনন্যার আহ্বান, ‘‘শুধু কথা বললে হবে না। কাজে করে দেখাতে হবে। কথার চেয়ে কাজের জোর বেশি। ’’

সরব হচ্ছেন টেলি অভিনেত্রীরাও। কবিতা কৌশিকের দাবি, অভিনেত্রীরা কে কতটা মজবুত জায়গায় রয়েছেন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখান, অপেক্ষাকৃত নামী এবং বয়সে বড় অভিনেত্রীরা যদি ছোট, অনামীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তা হলে উপকার হয়। কড়া মনোভাব নিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার কথা বলছেন হিমানী শিবপুরী। মহিলা প্রযোজক একতা কপূরও আগের দিনই বলেছিলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আলাদা কিছু নয়। এটাকে কর্মক্ষেত্রের সমস্যা হিসেবেই দেখতে হবে। যত বেশি করে মহিলারা উঁচু পদে থাকবেন, নিগ্রহের প্রতিরোধ বেশি করে সম্ভব হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement