প্রতীকী ছবি
ছাত্র সংগঠনের প্রবল আপত্তির মুখে মেঘালয় এনআইটির প্রশাসনিক ভবন থেকে গত সপ্তাহেই সরাতে হয়েছিল গণেশের মূর্তি। খ্রিস্টান-গরিষ্ঠ মেঘালয়ে এ বার সরকারি হাসপাতাল থেকে বাইবেল সরানোর দাবি তুলল অন্য একটি সংগঠন।
লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটারি নামে একটি সংগঠন দাবি তুলেছে, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল— এগুলিও ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তাই রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে তারা। বক্তব্য, শিলং সিভিল হাসপাতালে রাখা বাইবেল সরিয়ে ফেলতে হবে। জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যসচিবকেও দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি।
শিলং সিভিল হাসপাতালে রোগীদের বিছানার পাশে ছোট বাইবেল রাখাটা বহু দিনের রীতি। সংগঠনের দাবি, অ-খ্রিস্টান রোগীদের রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে বাইবেল পড়ানো রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার নীতির ১৮ নম্বর ধারা ও ভারতীয় সংবিধানের ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮
নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবাধিকারের আদর্শের পরিপন্থী। সংগঠনটি তাই রাজ্যের সব হাসপাতাল থেকে বাইবেল বা অন্য ধর্মীয় সামগ্রী, বই সরিয়ে ফেলার জন্য মুখ্যসচিবের কাছে আর্জি জানায়।
লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটারি-র অভিযোগ, মিশনারিরা নিয়মিত রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি থাকা অ-খ্রিস্টান রোগীদের খ্রিস্টধর্মের সুফল বোঝাতে আসেন। অবিলম্বে এই ধরনের কাজও বন্ধ হওয়া উচিত। মুখ্যসচিব পি এস থ্যাঙ্কিউয়ের দফতর থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মেঘালয়ের এনআইটিতে গণেশের মূর্তি বসানোয় জয়ন্তীয়া হিল ছাত্র সংগঠন আপত্তি জনিয়েছিল। তাদের যুক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মূর্তি বসানো চলবে না। অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, পুজোর উদ্দেশ্যে নয়, নিছকই সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য মূর্তিটি বসানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদ থামেনি। পুলিশও আসে এনআইটিতে। গত সপ্তাহে সরাতে হয় মূর্তি। এ বার বিতর্ক ধর্মপুস্তক ও ধর্মপ্রচার নিয়ে।