প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শক্তিসিন গোহিল (ডানদিক থেকে তৃতীয়) এবং আমূলের ডিরেক্টর জুবানসিন চৌহান (ডানদিক থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দলবদলে এ বার উলটপুরাণ গুজরাতে। দেশের অন্যতম বৃহৎ সমবায় সংস্থা আমূল ডেয়ারির ডিরেক্টর জুবানসিন চৌহান বুধবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে এই দলবদলের ঘটনায় বিজেপি অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। আমূলের পাশাপাশি, গুজরাতের ‘খরিয়া জেলা দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতি’র প্রধানের পদেও রয়েছেন জুবানসিন।
শনিবার গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি শক্তিসিন গোহিলের উপস্থিতিতে দলের রাজ্য দফতর রাজীব গান্ধী ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন জুবানসিন। তিনি দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরে ফেব্রুয়ারিতে আমূলের ডিরেক্টর পদে পুনর্নির্বাচিত হন। আমূলের দু’দফার ডিরেক্টর জুবানসিন সোমবার বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকারের আমলে আমূল ‘গুজরাতের গর্ব’ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমূল-সহ বিভিন্ন সমবায় সংস্থাকে উপেক্ষা করেছে।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভা ভোটের আগে বিতর্কে জড়িয়েছিল আমূল। তৎকালীন বিজেপি সরকার গুজরাতের আমূলকে বেঙ্গালুরুতে অনলাইনে দুধের ডেলিভারির অনুমতি দেওয়ায় কংগ্রেস, জেডি(এস)-সহ বিভিন্ন দল প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, কর্নাটকের নিজস্ব দুগ্ধ সংস্থা ‘কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন’-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘নন্দিনী’-কে উপেক্ষা করে আমূলকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘বয়কট আমূল’ এবং ‘গো ব্যাক আমূল’ ট্রেন্ড চালানো হয়েছিল টুইটারে।