সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। — ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা মামলায় জাল সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশে অভিযুক্ত তিস্তার স্থায়ী জামিনের আবেদন বুধবার মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ওই বেঞ্চ জানিয়েছিল, ১৯ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার দিনেই স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল শীর্ষ আদালতে।
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার মামলায় জাল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাত সরকারের তৎকালীন শীর্ষকর্তাদের ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। গুজরাত হাই কোর্ট গত ১ জুলাই তাঁর নিয়মিত জামিনের আর্জি খারিজ করে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে বলে। এর পরে অন্তর্বর্তী জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিস্তা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, ‘‘আবেদনকারী (তিস্তা) আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর পাসপোর্ট দায়রা আদালতের হেফাজতে থাকবে। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টা করবেন না এবং তাঁদের থেকে দূরে থাকবেন আবেদনকারী।’’
গোধরা পরবর্তী গুজরাত হিংসা নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুন তিস্তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশে। গ্রেফতার হওয়ার প্রায় আড়াই মাস পরে জামিন পান তিনি। গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)-র হাতে ধৃত তিস্তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন তিস্তা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে তাঁকে দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় মোদীর রাজ্যের হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন তিস্তা। শীর্ষ আদালত বুধবার খারিজ করে দিল গুজরাত হাই কোর্টের সেই নির্দেশ।