অমৃপালের খোঁজে হোসিয়ারপুর জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে আবারও পুলিশের সামনে দিয়ে পালিয়ে গেলেন খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ এবং তাঁর সঙ্গী পাপালপ্রীত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোসিয়ারপুর থেকে গা ঢাকা দেন খলিস্তানি নেতা এবং তাঁর সঙ্গী। তবে পুলিশের দাবি, অমৃতপাল পালাতে পারলেও, তাঁর দুই সঙ্গীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল, ফাগওয়ারা থেকে হোসিয়ারপুরে সড়কপথে আসছেন অমৃতপাল। সাদা রঙের ইনোভা গাড়িতে করে তাঁরা আসছিলেন। সেই খবর পেয়ে পুলিশ পিছু নেয় ওই গাড়িটির। ইনোভা গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল আরও একটি গাড়ি। হোসিয়ারপুর যাওয়ার পথে পুলিশের একটি চেকপোস্ট পড়ে। সেই চেকপোস্ট নির্বিঘ্নে পেরিয়ে মেহতিয়ানায় একটি গুরুদ্বারের কাছে দাঁড়ায় অমৃতপালের গাড়ি।
হোসিয়াপুরের সিআইডি সূত্রে খবর, গুরুদ্বারের কাছে গাড়িটি রেখে দিয়ে পালিয়ে যান অমৃতপাল, পাপালপ্রীত এবং আর এক সঙ্গী। তল্লাশি চালিয়ে অমৃতপালের দুই সঙ্গীকে আটক করেছে পুলিশ। এই দু’জনই অমৃতপালের গাড়িকে অনুসরণ করছিলেন। আটক দুই ব্যক্তি আদতে পঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও থাকেন উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়িতে।
পুলিশ মনে করছে হোসিয়ারপুরেই আত্মগোপন করে রয়েছেন ‘পঞ্জাব ওয়ারিস দে’র প্রধান অমৃতপাল। মঙ্গলবার রাত থেকেই গোটা হোসিয়ারপুরে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের এক সূত্রের খবর, হোসিয়ারপুরের মারনাইগ্রাম গ্রামে আত্মগোপন করে থাকতে পারেন খলিস্তানি নেতা। মেহতিয়ানার গুরুদ্বার থেকে এই গ্রামটির দূরত্ব বেশি নয়। তাই মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবারই অমৃতপালের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রকাশিত হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল পূর্ব দিল্লির মধু বিহারে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অমৃতপাল। তাঁর মাথায় পাগড়ি ছিল না। পুলিশও নিশ্চিত করেছে যে, সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, তিনি অমৃতপালই।
গত ১১ দিন ধরে পলাতক অমৃতপাল ও তাঁর সঙ্গী। নাগালে পেয়েও ধরতে পারেনি পুলিশ। বার বার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হচ্ছেন খলিস্তানি নেতা। বার বার নিজের অবস্থান বদলাচ্ছেন তিনি। গত ১১ দিনে কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে হরিয়ানায়, কখনও দিল্লি, কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও আবার পঞ্জাবেও।